ফের গণতন্ত্র ছেড়ে রাজতন্ত্রের পথে নেপাল, বড়সড় ভাঙনের মুখে নেপালের বাম শিবির
ফের গণতন্ত্র ছেড়ে রাজতন্ত্রের পথে নেপাল, বড়সড় ভাঙনের মুখে নেপালের বাম শিবির
ইতিমধ্যেই রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে ফের উত্তাল হয়েছে গোটা নেপাল। এমনকী নেপালের নির্বাচিত সরকার ভেঙে ফেলতেও তৎপরতা বাড়িয়েছে কেপি ওলির সরকার। এমনকী এর জন্য জারি হয়েছে নতুন অধ্যাদেশও। রবিবার জরুরি বৈঠকের পর তা পাঠানো হয়েছে রাষ্ট্রপতির কাছে। আর তারপর থেকেই তাঁরই নিজস্ব দল তথা নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি শর্মা।
ফের গণতন্ত্র ছেড়ে রাজতন্ত্রের পথে নেপাল
রাজতন্ত্র না গণতন্ত্র, তা নিয়ে গত বছর থেকেই দফায় দফায় উত্তাল হয়েছিল নেপাল। এদিকে গত কয়েক বছর আগে পর্যন্ত নেপালই বিশ্বের একমাত্র হিন্দুরাষ্ট্র ছিল। প্রায় ২৪০ ধরে বজায় ছিল রাজতন্ত্র। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে নেপালে সূচনা হয় প্রজাতন্ত্রের। পরবর্তীতে ২০১৫ সালেই গৃহিত হয় প্রথম সংবিধান। তখন থেকেই নেপালের প্রধানমন্ত্রীত্বের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন কে পি ওলি শর্মা। এদিকে বর্তমানে নেপালের একটা বড় অংশের মানুষের অভিযোগ একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এলেও শাসনভার হাতে নেওযার পর কোনও প্রতিশ্রুতিই রাখতে পারেন নি কেপি শর্মা ওলি।
দ্রুত সংবিধান বদলের চেষ্টা করতে পারেন কেপি শর্মা ওলি
অন্যদিকে দীর্ঘদিন থেকেই কেপি শর্মার বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছিল দলের অন্দরেই। প্রশ্ন ওঠে তাঁর নেতৃত্ব নিয়েও। এমনকী তার অপসরণের দাবিও পর্যন্ত ওঠে। এমনকী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সহ সমস্ত শীর্ষস্থানীয় নেতাই ওলির অপসারণের দাবিতে সরব হয়েছেন। এদিকে সরকার ভেঙে গেলে নতুন নয়া নির্বাচনে তাঁর ক্ষমতায় আসা কার্যত অনিশ্চিত। একথা ভালোই বুঝেছেন ওলি। এমতাবস্থায় তিনি দ্রুত সংবিধান বদলের চেষ্টা করতে পারেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
শাসক-বিরোধী, দু’পক্ষেরই উপরেই ভরসা হারিয়েছেন নেপালের সাধারণ মানুষ
এদিকে দেশের মন্ত্রিসভাও যে সরকার ভাঙার পরামর্শ দিয়েছে সে কথা জানিয়েছেন নেপালের শক্তিমন্ত্রী বারসামান পান। রাষ্ট্রপতির কাছে সেই প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে। এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নেপালের বর্তমান সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলি দেশের মানুষের স্বার্থরক্ষা কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। তার জেরেই ক্রমেই বাড়ছে ক্ষোভ। এমনকী শাসক-বিরোধী, দু'পক্ষেরই উপরেই ভরসা হারিয়েছেন নেপালের আম-আদমি।
নেপালের কমিউনিস্ট পার্টিতে বড়সড় ভাঙনের সম্ভাবনা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় নেপালে। ওই নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় সিপিএন-ইউএমএল ও সিপিএন (মাওবাদী) জোট। এই জোট সরকারই বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে নেপালে। এই জোট সরকারেই জোট হিসাবে দায়িত্বে রয়েছেন কেপি শর্মা ওলি। বর্তমানে সরকার ভাঙা নিয়ে কমিউনিস্ট পার্টির কাছে রীতিমতো চাপের মুখে পড়েছেন কেপি শর্মা ওলি। সূত্রের খবর, তার বিরুদ্ধে কার্যত জেহাদ ঘোষণা করেছেন নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রধান মুখ তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কুমার দহল। এমতবস্থায় সংসদ ভেঙে গেলে নেপালের কমিউনিস্ট পার্টিই আড়াআড়ি ভাবে প্রকাশ্যেই বিভিক্ত হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
রবি ঠাকুরের প্রাণের শান্তিনিকেতনে মাটির টানে শাহ! বাউল বাড়িতে সারলেন মধ্যাহ্নভোজ