পাকিস্তান, চিনের পর এবার ভারতের নতুন মানচিত্র নিয়ে আপত্তি 'বন্ধুরাষ্ট্র' নেপালের
৩১ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক ভাবে পুনর্গঠনের মাধ্যমে পৃথক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ। এরপরেই সরকারের তরফে প্রকাশ করা হয় ভারতের নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র।
৩১ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক ভাবে পুনর্গঠনের মাধ্যমে পৃথক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ। এরপরেই সরকারের তরফে প্রকাশ করা হয় ভারতের নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র। কিন্তু ভারত নতুন যে মানচিত্র প্রকাশ করেছে, তাতে আপত্তি জানিয়েছে নেপাল। ওই মানচিত্রে বিরোধপূর্ণ কালাপানি এলাকাকে দিল্লি ভারতের সীমানার ভেতরে দেখানোও উঠেছে আপত্তি।
চিন ও পাকিস্তানও আপত্তি জানিয়েছিল
শনিবার ভারত নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে। ভারতের এই মানচিত্র নিয়ে এর আগে পাকিস্তানও প্রবল আপত্তি জানায়। পাকিস্তান কাশ্মির নিজেদের বলে দাবি করে। আবার লাদাখ নিয়েও চিনের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে ভারতের। তাই মানচিত্র প্রকাশ হতেই চিনও আপত্তি জানায় এই মানচিত্রে। তারা বলে, ম্যাপে দেখানো লাদাখের অন্তর্গত এলাকা তাদের দেশের।
কালাপানি নিয়ে বহু বছরের বিবাদ
এদিকে চিন, পাকিস্তানের পাশাপাশি এবার নেপালও আপত্তি জানাল ভারতের সদ্য প্রকাশিত এই মানচিত্রের। মানচিত্রটিতে কালাপানিকে ভারত সীমান্তের ভেতরে নেয়া হয়েছে। কাঠমান্ডু বলেছে, এই এলাকাটি নেপালের। এই এলাকাটি নিয়ে নেপাল ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছে। প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে ওই এলাকায় ভারতীয় সৈন্য মোতায়েনের পর থেকেই আপত্তি করে আসছে নেপাল।
কী বলছে কাঠমান্ডু?
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, নেপাল তার আন্তর্জাতিক সীমান্ত রক্ষা করতে দৃঢ় ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সম্পর্কিত যেকোনও ইস্যু ঐতিহাসিক দলিলপত্র ও প্রমাণের ভিত্তিতে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে মীমাংসা করা উচিৎ। এতে আরও বলা হয়, এই বিষয়ে নেপাল সরকার একতরফা কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে না।
নেপালের পরবর্তী পদক্ষেপ কী?
কালি নদীজুড়ে ভারতের সাথে নেপালের পশ্চিম সীমান্ত প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮১৬ সালের চুক্তির ভিত্তিতে। তবে নদীটির উৎস কোথায় তা নিয়ে দুই দেশের মতবিরোধ থেকে সীমান্ত বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এই বিষয়ে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, "মানচিত্রটির সত্যতা যাচাই করতে হবে আমাদেরকে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকেও সীমান্ত রেখা পরীক্ষা করা দরকার। তারপর আমরা কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে আলোচনা শুরু করব।"