নেপাল এবার ভারতের সামনে মাথা নোয়ানোর পথে! মানচিত্র ইস্যুতে কাঠমাণ্ডু-কূটনীতি কোনদিকে
উত্তরাখণ্ডের কালাপানি, লিম্পিয়াধুরা, লিপুলেখ এই তিন এলাকা নেপাল নিজের বলে দাবি করতে শুরু করেছিল। তার জেরে মানচিত্রেও এই এলাকাগুলি নিজের এলাকার মধ্যে ঢুকিয়ে নেয় নেপাল। যা নিয়ে তীব্র বিরোধিতা করে দিল্লি। এরপর থেকে কাঠমাণ্ডুর কূটনীতি কোনপথে ?

মানচিত্র বিবাদ ও নেপাল
নেপাল চাইছে মানচিত্র বিবাদ ভারতের সঙ্গে বসে স্থির করার পরই তারা এবিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। দ্বিপক্ষিক আলোচনা ছাড়া আপাতত পুরনো আগ্রাসন ঝেড়ে ফেলতে চাইছে নেপাল।

মাথা নোয়াতে বাধ্য হল নেপাল!
প্রথমের দিকে উত্তরাখণ্ডের একাধিক সীমান্তবর্তী এলাকা নিয়ে প্রবল আগ্রাসন দেখালেও, এবার মাথা নোয়াতে বাধ্য হল নেপাল। নেপাল চাইছে যত দ্রুত সম্ভব সচিব পর্যায়ের বৈঠক ডাকা হোক। আর সেই বৈঠকে পরিস্থিতির কথা জানানো হোক। সেখান থেকেই সমাধান সূত্র আসুক। এজন্য বৈঠকের একচি দিনক্ষণও প্রস্তাব করা হয়েছে নেপালের তরফে।

সমস্যার সূত্রপাত কোথা থেকে?
মূলত সমস্যার সূত্রপাত, ৮ মে থেকে। সেই সময় দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ভারতের তরফে ধারচুলা থেকে লেপুলেখ পর্যন্ত একটি রাস্তার উদ্ঘাটন করেন। যা মেনে নিতে পারেনি নেপাল, তারা দাবি করে ,লেপুলেখ আসলে নেপালের অংশ। সেই মর্মে প্রকাশিত হয় মানচিত্রও। যে মানচিত্র দুই দেশের সম্পর্ককে খানিকটা তলানিতে নিয়ে এসেছে।

কাঠমাণ্ডু কী চাইছে?
মে মাসের প্রথমের দিকে, চিন যখন লাদাখ সীমান্তে নিজের আস্ফালন বাড়িয়েছে, তখন থেকেই নেপালও আগ্রাসন দেখিয়েছে। তবে পরবর্তীকালে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ধীরে ধীরে বিশ্ব কূটনীতির সামনে পড়ে চিন খানিকটা নরম হয় । মুহূর্তে নেপালও গুটিয়ে যায়। দিল্লি প্রথম থেকেই ইঙ্গিত দিয়েছে যে চিনের জিনপিং এরে অঙ্গুলি হেলনের দ্বারাই নেপালের প্রধানমনত্রী ওলি এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন। শেষে সেই তত্ত্বই সঠিক হয়।
সীমান্ত সংঘাত ঠেকাতে ভারত-চিন হাইভোল্টেজ বৈঠক আজ! ভারতের ফোকাসে কী থাকবে