ফের কি অপসারিত হওয়ার পথে নওয়াজ, মঙ্গলবারই চূড়ান্ত হতে পারে পাক প্রধানমন্ত্রীর ভাগ্য
প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পর থেকেই নওয়াজ শরিফের শাসন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বিরোধীরা লাগাতার নওয়াজের ভারতপ্রীতিকে আক্রমণ করে এসেছে। পানামা গেট কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে নওয়াজ ও তাঁর পরিবারের।
ফের কি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারিত হচ্ছেন নওয়াজ শরিফ? তা সম্ভবত মঙ্গলবারই চূড়ান্ত হতে চলেছে। সুপ্রিম কোর্টে গত ১০ জুলাই জমে পড়ে গিয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এবং তাঁর পরিবারের পানামাগেট কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার রিপোর্ট।[আরও পড়ুন:পানামা পেপার্স : নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তে যৌথ তদন্তকারী দল]
গত বছর প্রকাশ্যে আসে পানামাগেট কেলেঙ্কারি। এতে বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যক্তি এবং রাষ্ট্রনায়কদের নাম জড়ায়। দেখা যায় ভারত, পাকিস্তান সহ বিশ্বের নানা দেশের বিখ্যাত সব ব্যক্তি পানামায় তাঁদের অর্থ বেআইনিভাবে বিনিয়োগ করেছেন। এরপর থেকেই পানামাগেট কেলেঙ্কারিতে নওয়াজের নাম থাকা নিয়ে পাকিস্তানের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সরব হয়েছিল।[আরও পড়ুন:ওসামা বিন লাদেনের থেকে 'আর্থিক অনুদান' নিয়েছিলেন নওয়াজ শরিফ]
ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ এরপর ২০১৬-র অক্টোবরে পাক সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে। তাঁদের সঙ্গেই মামলা করে জামাত-ই ইসলামী এবং আওয়ামি মুসলিম লিগ। এই মামলায় নওয়াজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে তাঁর অপসারণের দাবি তোলে বিরোধী এই রাজনৈতিক দলগুলি। এরপরই পানামাগেট কেলেঙ্কারিতে নওয়াজ এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তের একটি কমিটি গড়ে সুপ্রিম কোর্ট। এই তদন্তের মধ্যে রাখা হয় লন্ডনের পার্ক লেনে নওয়াজের কেনা ৪টি বিলাস বহুল ফ্ল্যাটের জন্য দেওয়ার অর্থের উৎসকেও। কারণ, এই ফ্ল্যাটগুলি কিনতে কোথা থেকে অর্থ এসেছিল তা সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলাকালীন প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে পারেননি নওয়াজ এবং তাঁরপরিবার। ৬ সদস্যের জয়েন্ট ইনভেস্টিগেশন টিম বা জিট- ১০ জুলাই এই তদন্ত রিপোর্ট জমা করেছে পাক শীর্ষ আদালতে। এরপর থেকেই সেই রিপোর্ট গোপন রাখা হয়েছে। যদিও, ইমরান খানদের দাবি ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনে নওয়াজ শরিফ সরকারকে বরখাস্ত করার।[আরও পড়ুন:মাইক্রোসফটের একটা ফন্ট পাকিস্তানের নওয়াজ শরিফের সরকার ফেলে দিতে পারে]
এই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে মঙ্গলবার ফের শুনানিতে বসেছে সুপ্রিম কোর্ট। যদিও, নওয়াজের পক্ষ থেকে খাওয়াজা হ্যারিস তদন্ত রিপোর্টকে একতরফা এবং ভিত্তিহিন বলে দাবি করেছেন। তাঁর অভিযোগ দেশের আইন ভেঙে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এতে আসল আদালতের আগের নির্দেশকে লঙ্ঘন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন নওয়াজ।
যেভাবে বিদেশ থেকে নওয়াজ এবং তাঁর পরিবারের অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে তা দেশের আইনের বিরুদ্ধে বলেও দাবি করেছেন খাওয়াজা হ্যারিস। অবিলম্বে জিআইটি-র দাখিল করা তদন্ত রিপোর্ট খারিজ করতে শীর্ষ আদালতের কাছে আর্জিও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে,
পাকিস্তান
তেহরিক-ই
ইনাফ-এর
মেতা
বাবার
আমান
দাবি
করেছেন,
সুপ্রিম
কোর্টের
৫
বিচারপতির
মধ্যে
২
জন
নওয়াজ
শরিফ-এর
বিরুদ্ধে
মত
দিয়েছেন।
আর
একজন
বিচারপতি
নওয়াজ
শরিফের
বিরুদ্ধে
চলে
গেলে
তখন
পাক
প্রধানমন্ত্রীকে
পদ
ছেড়ে
দেওয়া
ছাড়া
আর
কোনও
উপায়
থাকবে
না
বলেও
দাবি
করেছেন
বাবর
আমান।
পাকিস্তান
তেহরিক-ই-ইনসাফ-এর
আর
এক
নেতা
নইম
বোখারি
জিট-এর
রিপোর্টকে
অবিলম্বে
কার্যকর
করে
নওয়াজ
শরিফকে
বরখাস্তের
দাবি
তুলেছেন।
এই
দলেরই
আর
এক
নেতা
ফাওয়াদ
চৌধুরীর
শুধু
নওয়াজ
শরিফ
সরকারকে
বরখাস্তের
দাবি
তোলেননি,
সেইসঙ্গে
নওয়াজকে
জেলে
পোড়ারও
দাবি
করেছেন।
অন্যদিকে, জিট-এর রিপোর্টের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন নওয়াজ শরিফ সরকারের অর্থমন্ত্রী ঈশক দার। মঙ্গলবার পাক সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি ইজাজ আফজল খান-এর বেঞ্চ নওয়াজ সম্পর্কে কি সিদ্ধান্ত নেয় এখন সেদিকে তাকিয়ে পাকিস্তান সহ আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল।