দ্রুত মিলছে প্রাণের খোঁজ? কোন পথে মঙ্গলে অনুসন্ধান চালাবে নাসার সর্বশ্রেষ্ঠ রোভার পারসিভিয়ারেন্স
দ্রুত মিলছে প্রাণের খোঁজ? কোন পথে মঙ্গলে অনুসন্ধান চালাবে নাসার সর্বশ্রেষ্ট রোভার পারসিভিয়ারেন্স
নতুন গবেষণা ও প্রাণের সন্ধানে ইতিমধ্যেই গতকাল অর্থাত্ ৩০শে জুলাই লালগ্রহের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয নাসার মঙ্গলযান পারসিভিয়ারেন্স। মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে ফের নয়া নজির তৈরি হয় নাসার হাত ধরে। মঙ্গলে পৌঁছাতে নাসার অত্যাধুনিক পারসিভিয়ারেন্স রোভারের একবছরের কাছাকাছি সময় লাগবে বলে জানা যাচ্ছে।
মোট খরচ কত ?
নাসা সূত্রে খবর, মঙ্গলের নিরক্ষীয় অঞ্চলের খুঁটিনাটি তথ্য জানতে বিশেষ সহায়তা করবে ১ হাজার ২৫ কেজির এই রোভার। এদিকে এই গোটা প্রকল্পের জন্য আমেরিকার খরচ হচ্ছে প্রায় ২৭০ কোটি মার্কিন ডলার। সঠিক তারিখ হিসাব করলে নাসার মত অনুযায়ী আগামী বছর ১৮ই ফেব্রুয়ারী মঙ্গলেরপৃষ্ঠ তলে অবতরণ করে নিজের কাজ শুরু করতে পারবে পারসিভিয়ারেন্স।
২০২৩ সাল পর্যন্ত পুরোদমে কাজ চালাবে পারসিভিয়ারেন্স
পৃথিবীর সময়ের হিসাবে ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মঙ্গলের রহস্য ভেদ করতে পুরোদমে কাজ করবে এই নতুন প্রযুক্তির মঙ্গলযান। এদিকে এর আগে লাল গ্রহ সম্পর্কে কৌতূহল নিরসনে অনেক ধারণা দিয়েছে এর আগে ২০১২ সালে নাসার পাঠানো রোভার কিউরিওসিটি। মঙ্গলের গহ্বরে তল্লাশি চালিয়ে সে বেশ কিছু আশাপ্রদ তথ্যই তুলে ধরেছে।
শোনা যাবে মঙ্গলপৃষ্ঠের শব্দও
সূত্রের খবর পারসিভিয়ারেন্সে থাকছে ২৩ টি ক্যামেরা ও দুটি মাইক্রোফোন। এই মাইক্রফোন ও রেকর্ডার দিয়েই মঙ্গলের ভূমিপৃষ্ঠের শব্দ রেকর্ড করে নাসার বৈজ্ঞানিকদের পাঠাবে এই নয়া মঙ্গলযান। পাশাপাশি মঙ্গলের নিরক্ষীয় অঞ্চলের যে সমস্ত অঞ্চল দিয়ে প্রাচীনকালে নদী ও হ্রদের উপস্থিতি ছিল বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা সেখানেও মঙ্গলীয় জীবনের অনুসন্ধান করবে পারসিভারেন্স।
খোঁজ চলবে জীবাশ্মের
হ্রদ ও নদী তীরবর্তী অঞ্চলে প্রাণের সন্ধানের পাশাপাশি মাটি খুড়ে জীবাশ্মের খোঁজ চলবে বলেও জানা যাচ্ছে। এমনকী লাল গ্রহে মানুষের পা পড়লে সেখানকার বায়ুমন্ডল থেকে ভিন্ন উপায়ে অক্সিজেন গ্রহন সম্ভব কিনা সেই বিষয়েও বিশদে গবেষণা চালাবে নাসার এই মঙ্গলযান। পাশাপাশি চলমান রকেটের সঙ্গে যুক্ত পারসিভিয়ারেন্সের মাথায় পৃথকভাবে থাকবে একটি ড্রোন ক্যামেরাও। এই ক্যামেরার মাধ্যমে তোলা ছবির মাধ্যমে লাল গ্রহের অজনা তথ্য নাসার গবেষকদের হাতে আসবে বলে খবর।
মোট ৩টি ল্যান্ডিং সাইট চিহ্নিত
এদিকে এই মিশনে মোট ৩টি ল্যান্ডিং সাইট চিহ্নিত করা হয়েছে বলে নাসা সূত্রে খবর। তার মধ্যে রয়েছে জেজেরো ক্রেটার, এন ই সারটিস এবং কলম্বিয়া হিলস। রোভার মিশনে উন্নত অ্যানালাইজারের মাধ্যমে নানা তথ্য বিশ্লেষণ করা হবে বলেও খবর। পাশাপাশি মঙ্গল পৃষ্ঠ থেকে কিছু পাথর ও মাটি সংগ্রহ করে পৃথিবীতেও পাঠানোর কথা রয়েছে বলে খবর।
ইদের আগে ফের রক্তাক্ত পাকিস্তান! বালোচ বিদ্রোহীদের হাতে নিহত ৭ পাক সেনা