খোঁজ মিলেছে প্যারালাল ইউনিভার্সের, সময় চলে উল্টো স্রোতে! নাসা-র বিজ্ঞানীদের খোঁজে চাঞ্চল্য
খোঁজ মিলেছে প্যারালাল ইউনিভার্সের, সময় চলে উল্টো স্রোতে! নাসা-র বিজ্ঞানীদের খোঁজে চাঞ্চল্য
এই মহাবিশ্বের সমান্তরাল আরও একটি মহাবিশ্ব রয়েছে। যেখানে সময় চলছে উল্টো স্রোতে, অর্থাৎ সেখানকার সময় অতীতের দিকে ধাবমান। না এটা কোনও সায়েন্স ফিকশন, সিনেমা বা টেলিভিশন সিরিজের গল্প নয়। সম্প্রতি প্যারালাল ইউনিভার্স বা সমন্তরাল বিশ্ব নিয়ে এমন দাবিই করেছেন ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (নাসা) একদল বিজ্ঞানী।
প্রমাণ পাওয়ার দাবি
তাদের দাবি, আমাদের এ মহাবিশ্বের মতো আরও কটি মহাবিশ্ব রয়েছে বলে প্রমাণও পেয়েছেন তারা, যেখনে সময় চলে পেছনের দিকে। আন্টার্কটিকায় এক গবেষণা চালানোর সময় ওই প্রমাণ তাদের নজরে আসে বলে জানান বিজ্ঞানীদের।
যেই যন্ত্রের সাহায্যে খোঁজ
নাসার ‘অ্যান্টার্টিক ইমপালসিভ ট্রানজিয়েন্ট অ্যান্টেনা'-র (এএনআইটিএ) সাহায্যে এই বিজ্ঞানীরা কাজ করেন। এবং এটির সাহায্যেই তাঁরা এই খোঁজ করেন। এএনআইটিএ হল এক ধরনের তরঙ্গ শনাক্তকরণ যন্ত্র যা বেলুনে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ মেরুর বাতাসে। অ্যান্টার্কটিকার জলবায়ু শুষ্ক এবং ঠাণ্ডা হওয়ায় সেখানকার বাতাসে মহাজাগতিক রশ্মি প্রায় অবিকৃতভাবে শনাক্ত করতে পারে এই অ্যান্টেনা।
আগেও উচ্চ শক্তিসম্পন্ন কণার খোঁজ মেলে
এএনআইটিএ ২০০৬ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যবর্তী সময়ে ঝর্ণার মত বেরিয়ে আসা উচ্চ শক্তিসম্পন্ন কণার খোঁজ পেয়েছিল। কিন্তু বরফ থেকে নিঃসরিত ওই কণাকে সে সময় প্যারালাল মহাবিশ্বের প্রমাণ হিসেবে মেনে নেননি গবেষকরা। স্রেফ ‘ব্যাকগ্রাউন্ড নয়েজ'-এর তকমা দিয়ে বিষয়টিকে বাতিল করে দেন তারা।
উল্টো মহাজাগতিক রশ্মি
পরে ২০১৬ সালের এক গবেষণায় উঠে আসে ভিন্ন তথ্য। গবেষকরা দেখেন ওই কণার সঙ্গে ‘উল্টো মহাজাগতিক রশ্মি'র মিল রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এখন বিশ্বাস করছেন, ওই কণাগুলো আদতে সময়ের উল্টোদিকে ধাবিত হচ্ছে। আর সেটি সম্ভব যদি কাছাকাছিই একটি সমান্তরাল মহাবিশ্ব বা প্যারালাল ইউনিভার্স থেকে থাকে। এবং ওই মহাবিশ্বে পদার্থবিজ্ঞানের প্রচলিত নিয়ম চলে 'উল্টো পথে'।
কী বলছেন গবেষক?
গবেষকদের দলনেতা অধ্যাপক গরহ্যাম আরও বলেছেন, 'খুবই অদ্ভুত একটি ব্যাপার। তাই আমরা বিষয়টি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছি। সেখানে আমরা জানিয়েছি, পদার্থবিজ্ঞানের আদর্শ মডেলের সঙ্গে যথেষ্ট টানাপোড়েন রয়েছে এর।' অদ্ভুত ঘটনাটি বর্ণনা করে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণাপত্রে আরও উল্লেখ করেছেন যে তিনি এবং তার সহগবেষকরা এমন কয়েকটি ‘অসম্ভব ঘটনা' দেখেছেন, যা নিয়ে তাদের সংশয় রয়েছে।
আম্ফানের মহাপ্রলয়ের বলি রাজ্যে ৭২, মোদীকে পরিস্থিতি পরিদর্শনের আহ্বান মমতার