সূর্যকে ছোঁয়ার চেষ্টায় নাসা! খোঁজ নতুন রহস্যের
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা সূর্যকে নতুন করে জানার চেষ্টায় একটি মিশনের উদ্যোগ নিয়েছে। কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়ে সূর্য সম্পর্কে নতুন রহস্য উন্মোচন করতে চলেছে।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা সূর্যকে নতুন করে জানার চেষ্টায় একটি মিশনের উদ্যোগ নিয়েছে। কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়ে সূর্য সম্পর্কে নতুন রহস্য উন্মোচন করতে চলেছে। মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে 'দ্য পার্কার সোলার প্রোব'। উপগ্রহটি এদিন শনিবার উৎক্ষেপণ হওয়ার কথা কেপ কানাভেরাল থেকে। যদিও একদিন সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। রবিবার ভোরে তা উৎক্ষেপণ হবে।
ডেল্টা-৪ হেভি রকেট থেকে রবিবার সকালে এটি উৎক্ষেপিত হবে। লঞ্চ প্যাডে থাকাকালীন কাউন্টডাউন করা ঘড়িতে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। যার তদন্ত শুরু হয়েছে।
সূর্যের বাইরের অংশ বা করোনার আবহাওয়া নিয়ে মূলত অনুসন্ধান চলবে। সূর্যের গতিবিধি নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে যে রহস্যের বাতাবরণ রয়েছে তা নিয়ে গবেষণা হবে। যে কৃত্রিম উপগ্রহটি যাচ্ছে তা ১ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা সহ্য করতে সক্ষম।
সৌরমন্ডলের অভ্যন্তরে খোঁজ চালানো পরিকল্পনা রয়েছে। কৃত্রিম উপগ্রহটি ৬ সপ্তাহের মধ্যে শুক্রকে টপকে যাবে। আরও ছয় সপ্তাহ লাগবে সূর্যের বৃত্তের মধ্যে পৌঁছতে।
তারপরে সাত বছরে পার্কার সূর্যকে ২৪বার চক্কর কাটবে। করোনার পদার্থবিদ্যা বোঝার চেষ্টা করবে। এই অঞ্চলের নানাবিধ কাজই পৃথিবীতে প্রভাব ফেলে। পৃথিবীর সৃষ্টির কারণও লুকিয়ে এখানেই। এই অঞ্চল থেকেই নমুনা সংগ্রহের কাজ চলবে। যা সূর্য থেকে মাত্র ৬.১৬ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
নতুন উপগ্রহটি মানুষের বানানো সবচেয়ে দ্রুতগামী যান হতে চলেছে। ঘণ্টায় গতি হবে ৬৯০,০০০ কিলোমিটার। যার ফলে নিউইয়র্ক থেকে টোকিও যেতে সময় লাগবে ১ মিনিটেরও কম।
সূর্যের গতিবিধি সম্পর্কে তাহলে আরও সম্ম্যক ধারণা পাওয়া যাবে। পৃথিবীর আবহাওয়ার পরিবর্তনের নানা সূত্র সেখান থেকে উঠে আসতে পারে। করোনা এক অদ্ভূত জায়গা। সূর্যের ভিতরের পৃষ্ঠ যেখানে ৬ হাজার ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তামাত্রার হতে পারে সেখানে করোনার তাপমাত্রা কয়েক লক্ষ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড হতে পারে। করোনা অনু, চৌম্বকীয় ও বৈদ্যুতিন ক্ষেত্রের নমুনা সংগ্রহ করে রহস্য সমাধানে সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে।