মহাকাশ গবেষণার নতুন অধ্যায়, গ্রহাণুর গতিপথ পরিবর্তন করতে নয়া পরীক্ষা নাসার
মহাকাশ গবেষণার নতুন অধ্যায়, গ্রহাণুর গতিপথ পরিবর্তন করতে নয়া পরীক্ষা নাসার
মহাআকাশ বিজ্ঞানে আরও একধাপ এগিয়ে গেল নাসা। বর্তমানে নাসা ৫০০ কেজির গ্রহাণুর দিক পরিবর্তন করার পরিকল্পনা নিয়েছে। ওই গ্রহাণুর দিক পরিবর্তন করার জন্য ইতিমধ্যে নাসা মহাকাশ যান পাঠিয়েছে। নাসার তরফে জানা গিয়েছে, চাঁদের কক্ষপথে এই গ্রহাণুকে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এই গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে না বা এই গ্রহাণুর জন্য পৃথিবীর কোনও ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। মহাকাশ বিজ্ঞানকে আরও উন্নত করতে এবং পৃথিবীকে ভবিষ্যতে এই ধরনের কোনও বিপদের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে নাসা গ্রহাণুটির দিক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার একটি বন্দর থেকে নাসা সফলভাবে একটি বাণিজ্যিক রকেট উৎক্ষেপণ করেছে। ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট মহকাশযান ব্যবহার করে গ্রহাণুটির দিক পরিবর্তনের চেষ্টা করছে নাসা। এই গ্রহাণুটি ৭৮০ মিটার ব্যাসের। মূলত এই গ্রহাণুর দিক পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ৫০০ কেজির গ্রহাণুর দিক পরিবর্তন করতে যে প্রচণ্ড শক্তির প্রয়োজন হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
দ্য প্লানেটারি সায়েন্স জার্নালে এই বিষয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিক হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, দিক পরিবর্তন করতে গেলে কী পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, তা আগাম আন্দাজ করা কঠিন। গ্রহাণুটির দিক পরিবর্তন করতে গেলে বাইরে থেকে ব্যাপক শক্তি প্রয়োগের প্রয়োজন হয়। এরফলে গ্রহাণুটির আভ্যন্তরীণ পরিকাঠামোর বদল হতে পারে। কারণ গ্রহণুটি পরিকাঠামো নিয়ে নাসার বিজ্ঞানীরা এখনও নিশ্চিত নয়। ন্যাশনাল সেন্টার অফ কম্পিটেন্স ইন রিসার্চ প্ল্যানেটের আধিকারিক সাবিনা রাদুকান জানিয়েছেন, গ্রহাণুগুলোর কাঠামো ধ্বংসস্তূপের মতো হতে পারে। যা মহাকর্ষীয় মিথস্ক্রিয়া দ্বারা একত্রিত হয়েছে।
নাসার তরফে জানানো হয়েছে, ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট বা ডার্ট ২০২১ সালের নভেম্বরে মহাকাশের দিকে যাত্রা শুরু করেছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ডিডাইমোসে পৌঁছবে। অক্টোবরে প্রতি ঘণ্টায় ২৪,০০০ কিলোমিটার বেগে গ্রহাণুকে ধাক্কা দেবে। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছে, এরফলে ডিডাইমোসের কক্ষপথের গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে ০.৪ মিলিমিটার বেগে পরিবর্তিত হবে। এরফলে গ্রহাণুর গতিপথের পরিবর্তন হবে। এরপরে ২০২৬ সালে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির মহাকাশযান হেরা দুর্ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করতে আসবে। আর আগে এই পরীক্ষায় বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যাবে না।
বাইশের বিশাল ক্ষতির মুখে মাস্ক থেকে বেজোসরা, লাভের খাতায় নাম লিখিয়েছেন অম্বানি আদানিরা
এই মহাকাশযান হেরা গ্রহাণুর দিক পরিবর্তন হয়েছে কি না, হলে কতটা হয়েছে তা পর্যবেক্ষণ করবে। পাশাপাশি হেরা পরীক্ষা করে দেখবে, এই ধরনের কোনও গ্রহাণুর পৃথিবীর দিকে ধাবিত হলে, তা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব কি না। হেরা ২০২৩ সালে মহাকাশের দিকে যাত্রা শুরু করবে। ২০২৬ সালে ডিডাইমোসে পৌঁছবে।