ইতিহাস গড়ে মঙ্গলে উড়ল নাসার হেলিকপ্টার, ইনজেনুইটির হাত ধরে নয়া সাফল্য
nasa, usa,mars, science,নাসা,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বিজ্ঞান
আরও এক ইতিহাসের পথে পা বাড়ল মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসা। মঙ্গলের বুকে এবার উড়ল নাসার হেলিপক্টার ইনজেনুইটি। সোমবারই মঙ্গলে এমন এক অসমান্য কীর্তি স্থাপন করে ফের নাসা জানান দিল বিশ্বে তাদের গবেষণা কেন্দ্রে মেধার উৎকর্ষের। আর এর হাত ধরেই নয়া অধ্যায় লিখল নাসার মাহাকাশ বিজ্ঞান চর্চা।
হার না মানা জেদ!
প্রথম উদ্যোগেই যে সাফল্য পেল ইনজেনুইটি, তা নয়। বহুবার পিছিয়ে পড়েও এই হেলিকপ্টার নিয়ে উদ্যোগ নিতে ছাড়েননি সেখানের বিজ্ঞানীরা। অবশেষে পূর্ব পরিকল্পিত সময়েই মঙ্গলের আকাশে সফলভাবে উড়ল নাসার কপ্টার। কপ্টার উড়ানের ভিডিও ধরা পড়েছে মঙ্গলযান পারসিভেরান্সের ক্যামেরায়।
কতটা উঠতে পারে কপ্টার?
জানা গিয়েছে মঙ্গলের মাটি থেকে প্রায় ১০ ফুট উপরে উড়তে দেখা যায় এই কপ্টারকে। মঙ্গলের মাটিমাটি ছেড়ে ইনজেনুইটি উপরে উড়তেই সাফল্যের এক নতুন শিখর ছুঁয়ে পেলে নাসা। আর উপর থেকে ধীরে ধীরে ইনজেনিউটির নেমে আসাও সাফল্যের সঙ্গে পার করে এই মঙ্গল-কপ্টার! প্রসঙ্গত , প্রতিকূল পরিবেশে তিন মিটারের উর্ধ্বে যে ইনজেনুইটি উড়তে পেরেছে , তাতেই এই যান সকলকে চমকে দিয়েছে। প্রসঙ্গত , মঙ্গলে বাতাসের ঘনত্ব পৃথিবীর চেয়ে ৯৯ শতাংশ কম।
স্মৃতি চিহ্ন বয়ে নিয়ে গিয়েছে কপ্টার
প্রসঙ্গত, এই কপ্টারের সঙ্গে ছিল একটি স্মৃতি চিহ্ন। মঙ্গলে উড়তে থাকা এই কপ্টারের সঙ্গে ছিল এক টুকরো কাপড়। এই কাপড়ের টুকড়ো ছিলব ফ্লায়ার ওয়ান নামের বিমানের থেকে। ১৯০৩ সালে ফ্লায়ার ওয়ানের হাত ধরে রাইট ব্রাদার্সরা ইতিহাস গড়েছিলেন। সেই অধ্যায়ের হাত ধরে প্রথমবার আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকে মানুষ। আর রাইট ভাইদের বিমামের সেই স্মৃতি চিহ্ন নিয়ে ইনজেনিউইটি উড়েছে মঙ্গলের বুকে।
আরও নতুন কিছু করার দিকে বুক বাঁধছে নাসা!
এদিকে, নাসার তরফে ইনজেনুইটি প্রজেক্টের ম্যানেজার জানিয়েছেন, রাইট ভাইরা যেমন আরও আবিষ্কার ও নতুনত্বের খোঁজে নিজেদের কাজ এগিয়ে নিয়েছিলেন , তেমনই নাসার এই টিমও আরও কিছু নতুনত্বের আশায় আরও একধাপ এগিয়ে যেতে চাইছে। প্রসঙ্গত, রোভার পারসিভেরান্সের সঙ্গে আগেই মঙ্গলে পৌঁছয় এই কপ্টার। এরপর পারসিভেরান্স থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এই কপ্টার নিজের লক্ষ্যে কাজ করতে শুরু করে।