সূর্যের গ্রাস থেকে পৃথিবীকে রক্ষাকারী চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে বড়সড় ফাটল, নাসার রিপোর্টে চাঞ্চল্য
পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে পট পরিবর্তন নিয়ে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সামনে আনল নাসা। নাসার রিপোর্ট অনুযায়ী পৃথিবীকে ঘিরে থাকে যে স্তর রয়েছে সেটাই এখন বিপদের মুখে! স্তরের বিশাল জায়গা জুড়ে ইতিমধ্যেই বড়সড় ফাটল ধরেছে। পৃথিবী রক্ষাকারী আবরণ বা এই শিল্ডে মিলছে গর্তেরও খোঁজ।

বায়ুস্তরের পরিবর্তনও অনেকাংশে নির্ভরশীল এই ম্যাগনেটিক ফিল্ডের উপর
পৃথীবিকে ঘিরে থাকা এই ম্যাগনেটিক ফিল্ডই সৌর রশ্মীর দাবদাহ থেকে পৃথিবীর প্রণিকূলকে অনেকাংশে রক্ষা করে। এমনকী একাধিক গবেষণার জন্য এই ম্যাগনেটিক ফিল্ডটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর ওপর পৃথিবীর বায়ুস্তরে পরিবর্তনও অনেকাংশে নির্ভরশীল। বর্তমানে দক্ষিণ আমেরিকা ও দক্ষিণ আটলান্টিক সাগরের নামে এই বিষয়টির নামকরণ করা হয়েছে বলে নাসা সূত্রে খবর।

চিন্তা বাড়ছে বিজ্ঞানীদের
সোজা ভাবে একে বলা হচ্ছে সাউথ আতলান্তিক অ্যানোমলি বা এসএসএ (South Atlantic Anomaly- SAA)। ভৌগলিক এই স্তরে বিশালভাবে ফাটলের কারণে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা দুটি ভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। নাসা এও জানাচ্ছে, দক্ষিণ আটলান্টিক অ্যানোমালির উপর সর্বদা নজর রাখছেন নাসার ভূবিজ্ঞানীরাও। যেভাবে এটি ক্রমশ শক্তিক্ষয় করছেন এই আস্তরণ, তা চিন্তা বাড়াচ্ছে বিজ্ঞানীদের।

প্রভাব পড়ছে স্যাটেলাইট মিশনে
এদিকে বেশ কয়েক দশক ধরেই এসএএ পৃথিবীর পৃষ্ঠে তৈরি হচ্ছে। তবে এখন এর আস্তরণের পাতলা হওয়ার হার বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে সবথেকে বড় প্রভাব পড়ছে বিশ্বের উপগ্রহ মিশন বা স্যাটেলাইট মিশনে। পাশাপাশি নাসা এও জানাচ্ছে বর্তমানে এই বড় ফাটলটির প্রভাব সরাসরি মানবজীবনে না পড়লেও দিন দিন বিপদের আশঙ্কা বাড়ছে। তার কারণ দিন যত যাচ্ছে আরও গভীর হচ্ছে এই ফাটল।

ব্যহত হতে পারে কোন কোন পরিষেবা
এদিকে পৃথিবীর এই চৌম্বক ক্ষেত্রটি মহাকাশে কয়েক লক্ষ কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে। এর অন্য নাম ‘জিওম্যাগনেটিক ফিল্ড'। এই চৌম্বক ক্ষেত্রটিই ভয়ঙ্কর সৌর বিকিরণের পাশাপাশি অত্যন্ত বিষাক্ত মহাজাগতিক রশ্মির ছোবল থেকে আমাদের প্রতি মুহূর্তে বাঁচায়। এই স্তরে ক্ষয়ক্ষতি হলে স্যাটেলাইট মিশনের পাশাপাশি পৃথিবীর টেলিযোগাযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ ও নেভিগেশন ব্যবস্থেও খুব খারপ প্রভাব পড়তে চলেছে অদূর ভবিষ্যতে।
ফের বাবরি মসজিদ-রাম মন্দির ইস্যুতে বিতর্কের আভাস, রাজীব গান্ধীকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি তাঁর বন্ধুর