পুতিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ মোদীর, পিছনে লুকিয়ে কোন কূটনীতি
রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাজিমির পুতিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাজিমির পুতিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন রাশিয়ার সোচিতে দুই রাষ্ট্রনেতার সাক্ষাৎ সৌজন্যমূলক হলেও নানা বিশ্বজনীন ইস্যু আলোচনায় উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতম হল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি বাতিল করা। এই নিয়ে সারা বিশ্বে হইচই হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে দুই মিত্র দেশ ভারত-রাশিয়া একে অপরের সঙ্গে কথা বলে পারস্পরিক আলোচনা সেরে ফেলতে পারে।
সরকারি সূত্রে খবর, সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ হওয়ায় দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক নানা ইস্যু নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হবে না। তবে ইরানের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু চুক্তি বাতিল ও সেই প্রেক্ষিতে ভারত-রাশিয়ার উপরে তার অর্থনৈতিক প্রভাব কেমন হতে পারে তা নিয়ে অবশ্যই আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান, সিরিয়ার মতো দেশ নিয়েও মোদী-পুতিন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে পারেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বৈঠকের কিছুটা জুড়ে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ নিয়ে অবশ্যই আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্রের খবর, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেন আরও বাড়াতে আগ্রহী রাশিয়া। পুতিন নিজের দেশের আর্থিক বৃদ্ধি বাড়াতে সচেষ্ট হয়েছেন তবে ইউক্রেন সঙ্কটের পর পাশ্চাত্য দেশগুলির চাপে তা অনেকটা ধাক্কা খেয়েছে। ফলে বন্ধু দেশ ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেন বাড়িয়ে সেই পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিতে চাইছেন পুতিন।
পুতিন-মোদী বৈঠকে ভারত-রাশিয়া অসামরিক পরমাণু সমঝোতা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডোর প্রোজেক্ট, পাঁচ দেশের ইরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নে ভারতের ওঠাবসা ও কোরিয় উপদ্বীপ এলাকার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়েও মোদী-পুতিন আলোচনা করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।