নরেন্দ্র মোদী হলেন 'চ্যাম্পিয়ন অফ দ্য আর্থ', কুর্ণিশ জানাল রাষ্ট্রপুঞ্জ, কোচিও পেল বিশ্বসেরার সম্মান
প্রধানমন্ত্রী পদে আসিন হওয়ার পরই শক্তিক্ষেত্রে সোলার-পাওয়ারের উপরের নির্ভরতা বাড়ানোর কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী পদে আসিন হওয়ার পরই শক্তিক্ষেত্রে সোলার-পাওয়ারের উপরের নির্ভরতা বাড়ানোর কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শক্তি ক্ষেত্রে যে পরিবেশ বান্ধব বিকল্প পথে যেতে হবে তার জন্য সওয়াল করেছিলেন তিনি। যে সব স্থানে প্রচলিত শক্তি-র মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব নয় সেখানেও বিকল্প পথেই শক্তি-তেই সমস্যার সুরাহায় বিভিন্ন প্রকল্পের সূচনা করিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
তাঁর এই পরিবেশবান্ধব বিকল্প শক্তি-র খোঁজ এবার এনে দিল এক নয়া স্বীকৃতি। 'চ্যাম্পিয়ন্স অফ দ্য আর্থ'-এর সম্মান পেলেন নরেন্দ্র মোদী। খোদ রাষ্ট্রপুঞ্জ প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এই স্বীকৃতি দিচ্ছে। মোদীর সঙ্গে এই 'চ্যাম্পিয়ন্স অফ দ্য আর্থ' সম্মানে সম্মানিত হচ্ছেন ফরাসী প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাকরঁ। রাষ্ট্রপুঞ্জের এটা সর্বোচ্চ পরিবেশ সম্মান।
ইন্টারন্য়াশনাল সোলার এলায়েন্স বা আইএসএ-কে সাফল্য়ের শিখরে নিয়ে যেতে যেভাবে মাকরঁ ও মোদী কাজ করেছেন, তা এক কথায় অসাধারণ বলেই মনে করছে রাষ্ট্রপুঞ্জ-এর শাখা সংগঠন ইউনাইটেড নেশনস এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম বা ইউএনইপি।
২০১৫ সালে প্য়ারিসে ইউএন ক্লাইমেট কনফারেন্স বা সিওপি২১-এর আড়ালে ভারত ও ফ্রান্স একসঙ্গে আইএসএ তৈরি করে। সৌর শক্তি-র ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দেওয়া দেশগুলির মধ্যে একটা সমন্বয় গড়ে তুলতে আইএসএ তৈরি করা হয়েছিল। যার উদ্দেশ্যই হল সৌর শক্তি-কে বৈচিত্রময় পথে আরও বেশি করে ব্যবহারযোগী করে তোলা। এই মুহূর্তে ১২১টি দেশ আইএসএ-র সদস্য। ভারতের গুরুগ্রাম এই আইএসএ-র সদর দফতর।
বিশ্বজুড়ে পরিবেশ রক্ষায় মাকরঁ যে ভাবে উদ্যোগী হয়েছেন এবং নরেন্দ্র যেভাবে ২০২২ সালের মধ্যে ভারত থেকে সিঙ্গল-ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহারকে বন্ধ করার শপথ নিয়েছেন, তাতে মুগ্ধ ইউএনইপি।
নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সঙ্গে কোচি বিমানবন্দরের কপালেও জুটেছে নয়া স্বীকৃতি। কোচি বিমানবন্দর বিশ্বের প্রথম পুরোপুরি সৌর-শক্তি চালিত বিমানবন্দর। সাসটেনেইবল এনার্জি-ক্ষেত্রে কোচির নেতৃত্ব তাকে আন্তেঁপ্রঁনিরিয়াল ভিসন ক্যাটিগরি-তে সেরার সম্মান এনে দিয়েছে।
সরকার থেকে শুরু করে নাগরিক সমাজ, বেসরকারি ক্ষেত্রের যে সব মানুষ তাদের অসামান্য নেতৃত্বে পরিবেশের উপরে একটা পজিটিভ ইমপ্যাক্ট তৈরি করে তাদেরকে 'চ্যাম্পিয়ন্স অফ দ্য আর্থ' সম্মানে সম্মানিত করা হয়।
[আরও পড়ুন: বিজেপি রামে মজলে কংগ্রেস কোন ভগবানের ভরসায় লোকসভা ভোটের ময়দানে নামছে জানেন কি]
এখন পর্যন্ত মোট ৮৪ জন এবং সংগঠন-কে এই 'চ্যাম্পিয়ন্স অফ দ্য আর্থ' সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে যেমন আছেন নিচুতলার সমাজকর্মী, তেমনি আছেন নীতি, বিজ্ঞান, ব্যবসা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি। গত ১৩ বছর ধরে এই সম্মান দিয়ে আসছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।
[আরও পড়ুন:বিবাদ জমি নিয়ে, নমাজ ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অংশ কিনা তা নিয়ে নয়! কী বলছে সুপ্রিম কোর্ট]
এই সম্মান প্রাপকদের মধ্যে রয়েছেন সমুদ্র সৈকত পরিষ্কারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রকল্পের নেতৃত্বে দেওয়া আফরোজ শাহ। তিনি ২০১৬ সালে এই সম্মান পেয়েছিলেন। রাওয়ান্ডান প্রেসিডেন্ট পল কাগামে ২০১৬-তে, প্রাক্তন মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট আল গোরে ২০০৭ সালে, ওসন ক্লিনআপ সিইও বোয়ান স্লাট ২০১৪ সালে, সায়েন্টিস্ট এক্সপ্লোরার বার্টান্ড পিককার্ড এবং গুগল আর্থ-এর ব্রায়ান ম্যাকক্লেনডন ২০১৩ সালে এই সম্মানে সম্মানিত হয়েছিলেন।
[আরও পড়ুন: ২০১১-র সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডের রায় ঘোষণা, জেনে নিন বিস্তারিত]