কাশ্মীরে গণভোটের পাকিস্তানি দাবি মানলেন না নরেন্দ্র মোদী, কড়া বার্তা
শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার মঞ্চ থেকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ কাশ্মীরে গণভোট নেওয়ার ডাক দেন। পাশাপাশি, কাশ্মীর ইস্যু ঘিরে যাবতীয় গণ্ডগোলের দায় ভারতের ওপর চাপিয়ে দেন। ফলে নরেন্দ্র মোদীর পাল্টা জবাব নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল। শনিবার ৩৫ মিনিট ধরে আগাগোড়া হিন্দিতে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তানকে বিঁধে বলেন, "কাশ্মীর সমস্যা এই মঞ্চে তোলাটা সমাধানের পথ হতে পারে না। কাশ্মীর নিয়ে আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি। কিন্তু সন্ত্রাসের ছায়ামুক্ত বাতাবরণ তৈরির দায়িত্ব ওদেরই নিতে হবে। কিছু দেশ জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে, সন্ত্রাসবাদকে নিজেদের নীতি বানাচ্ছে। সন্ত্রাসবাদের ভিতরে ভালো-খারাপ বিভাজন করছে। দক্ষিণ এশিয়ায় কত সমস্যা রয়েছে, কিন্তু শুধু কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান ভাবিত।" এই বক্তব্য থেকে পরিষ্কার, পাকিস্তানের দাবি মেনে কাশ্মীরে গণভোট গ্রহণের পক্ষপাতী নয় ভারত।
পাশাপাশি, দৃপ্ত ভাষণে তিনি রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের দাবি জানান। তিনি বলেছেন, "৭০ বছর আগে রাষ্ট্রসংঘ তৈরি হওয়ার সময় বিশ্বের পরিস্থিতি অন্য রকম ছিল। কিন্তু একবিংশ শতকে দ্রুত বদলের সঙ্গে তাল মেলাতে হলে রাষ্ট্রসংঘকেও বদলাতে হবে। নইলে অপ্রাসঙ্গিক হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় নতুন দেশগুলিকে সম্মানের সঙ্গে জায়গা দিতে হবে।" প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা পরিষদে এখন পাঁচটি স্থায়ী সদস্য রয়েছে। এরা হল আমেরিকা, চীন, রাশিয়া, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। ভারত, জার্মানি ও জাপান দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী সদস্যপদ পেতে লড়াই চালাচ্ছে।
নরেন্দ্র মোদী বলেন, "জি-ফোর, জি-সেভেন তো হল। এ বার আসুন, জি-অল বানাই। সব দেশকে মনিয়ে আন্তর্জাতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলি।"
সন্দেহ নেই, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান যে সুড়সুড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছিল রাষ্ট্রসংঘে, তার কড়া জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও দেখুন: (ছবি) রাষ্ট্রসংঘে নানা মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী