নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ চায় ভারত, রাষ্ট্রসংঘের কাঠামো পুনর্বিন্যাসের দাবি মোদীর
ভারত এগোলে বিশ্ব এগোবে। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেশকে নিয়ে গর্ব করেছেন। আর প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তান নিয়ে বিশ্বকে সাবধান করেছেন।
ভারত এগোলে বিশ্ব এগোবে। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেশকে নিয়ে গর্ব করেছেন। আর প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তান নিয়ে বিশ্বকে সাবধান করেছেন। বলেছেন আফগানিস্তানের পরিস্থিতি আজ প্রশ্ন তুলতে বাধ্য করছে রাষ্ট্রপুঞ্জের গঠনতন্ত্র নিয়ে। বিশ্বের সামনে যে চরমপন্থা নামক বিপদ উঁকি দিয়েছে তা নির্মূল করতেই নতুন করে সংঙ্ঘবদ্ধ হতে হবে বিশ্বকে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাষ্ট্রপুঞ্জের গঠনতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসলে বোঝাতে চাইলেন, ভারতকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ হিসেবে গণ্য করার পাশাপাশি ভেটো প্রদানের ক্ষমতাও দিতে হবে। বিশ্বের সামনে চরমপন্থা হল সবথেকে বড় বিপদ। তাই চরমপন্থার মোকাবিলায় ভারতের মতো শক্তিকে প্রয়োজন বিশ্বের।
রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি হিসেবে ভারতের শক্তিশালী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন বাইডেন। তিনি রাষ্ট্রসংঘ তথা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থানীয় সদস্যপদের জন্য মার্কিন সমর্থনের কথা বলেন। একইসঙ্গে ভারতের মতো অন্যান্য দেশ যারা বহুপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিতে এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী আসন পেতে আগ্রহী, তাদের প্রতিও সমর্থনের বার্কা দেন তিনি।
বর্তমানে রাষ্ট্রসংগের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য দেশ হল পাঁচটিষ। আর ১০টি অস্থায়ী সদস্য দেশ রয়েছে। পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশ হল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চিন, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। এই দেশগুলি যে কোনও মূল সিদ্ধান্ত ভেটো দিতে পারে। বাকি যে ১০টি অস্থায়ী সদস্য দেশ রয়েছে, তারা যে কোনও মূল সিদ্ধান্তে ভেটো দিতে পারে না। আর এই অস্থায়ী সদস্যরা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ দ্বারা দু-বছরের মেয়াদে নির্বাচিত হয়।
এমতাবস্থা ভারতকে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী আসন দেওয়া নিয়ে কথা হচ্ছে বহুদিন ধরেই। কিন্তু চিন বেঁকে বসায় তা সম্ভব হচ্ছে না। আমেরিকা বরাবর ভারতের হয়ে সওয়াল করে চলেছে। অন্য স্থায়ী সদস্য দেশগুলিও রাজি ভারতে এই মর্যাদা দেওয়া জন্য। কিন্তু চিনের আপত্তিই অন্তরায় হয়ে উঠছে বারবার।
এহেন পরিস্থিতিতে আমেরিকা কিছুদিন আগে একটা বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছিল। নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী আসন পেতেই পারে ভারত। কিন্তু ভেটো ক্ষমতা থাকবে না তাদের। তাদের যুক্তি, ভারত যদি ভেটো ক্ষমতা চায়, তবে নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী আসন পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। আমেরিকাও পূর্ব রাষ্ট্রপুঞ্জের কাঠামো সংস্কারের বিষয়ে সদিচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন। এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও রাষ্ট্রসংঘের সভায় কাঠামো সংস্কারের দাবি তুললেন। ২০১০ সালে বারাক ওবামা থেকে শুরু করে বিগত দিনে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং হালে জো বাইডেনও ভারতে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ দেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু তা এখনও বিশ বাঁও জলে। শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদী সরব হলেন রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায়।