করোনা ভাইরাসের মধ্যেই আতঙ্ক বাড়াচ্ছে Brain-Eating Amoeba! কতটা ভয়ঙ্কর এই ভাইরাস?
গত কয়েক বছর ধরে করোনা ভাইরাসের ভয়ঙ্কর প্রভাব চলেছে বিশ্বজুড়ে। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও চিন সহ বেশ কয়েকটি দেশে নতুন করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। আর এর মধ্যেই নতুন আতঙ্ক! দক্ষিণ কোরিয়া টাইমসের খবর অনুযায়ী, ৫০ বছর বয়সী এক ব্
Brain Eating Virus: গত কয়েক বছর ধরে করোনা ভাইরাসের ভয়ঙ্কর প্রভাব চলেছে বিশ্বজুড়ে। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও চিন সহ বেশ কয়েকটি দেশে নতুন করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। আর এর মধ্যেই নতুন আতঙ্ক! দক্ষিণ কোরিয়া টাইমসের খবর অনুযায়ী, ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে Naegleria Fowleri-এর সংক্রমণে।
এই ব্যক্তি সম্প্রতি থাইল্যান্ড থেকে ফিরেছিলেন বলে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে। অনেকে এই রোগকে Brain-Eating Amoeba-অর্থাৎ মাথার ঘিলু খাওয়া এক প্রকার ভাইরাসও বলে থাকেন।
কোরিয়ার রোগ নিয়ন্ত্রণ এজেন্সি (Korea Disease Control and Prevention Agency) এই খবর সামনে আনার পরেই বিশ্বজুড়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক।
দেশে ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি
জানা যাচ্ছে, গপ্ত ১০ ডিসেম্বর কোরিয়াতে ফিরে আসেন ওই ব্যক্তি। যদিও এর আগে গত চার মাস থাইল্যান্ডে ছিলেন তিনি। তবে ওই ব্যক্তির ফেরার পর থেকেই একাধিক লক্ষ্মণ ঘিরে সন্দেহ তৈরি হয়। যেমন মাথা ব্যাথা, জ্বর, বমি নিয়ে রীতিমত হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। পরিস্থিতি আরও জটিল হলে রাতারাতি ইমারজেন্সিতে ভর্তি করা হয়। পরিস্থিতি আরও জটিল হয় এবং এরপরেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। কোরিয়ার রোগ নিয়ন্ত্রণ এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী, নেগেলেরিয়া ফাউলেরি দ্বারা সৃষ্ট তিনটি ভিন্ন সংক্রমণের জিনগত পরীক্ষার মাধ্যমে তার মৃত্যুর কারণ নির্ধারণ করা হয়েছিল।
কীভাবে শরীরে প্রবেশ করে এই ভাইরাস?
থাইল্যান্ড থেকে ফেরা ওই রোগীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। আর তা থেকে দেখা যায় ওই ব্যক্তির দেহে একটি জিন রয়েছে যা বিদেশে রিপোর্ট করা একজন মেনিনজাইটিস রোগীর মধ্যে আবিষ্কৃত জিনের 99.6% অনুরূপ। দক্ষিণ কোরিয়াতে এই ঘটনা প্রথম। তবে ট্রান্সমিশনের বিষয়ে কিছু তথ্য এখনও দেওয়া হয়নি। তবে মূলত দুটি সম্ভাবনা উঠে এসেছে। বলা হচ্ছে দূষিত জলে সাঁতার কাটা সময়ে এই ভাইরাস শরীরে ঢুকতে পারে। এমনকি দুষিত কোনও জল দিয়ে নাক ধুলেও ভাইরাস শরীরে পৌছতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। Naegleria Fowleri-এর সংক্রমণ ১৯৩৭ সালে আমেরিকার ভার্জেনিয়ার একটি অঞ্চলে খোঁজ পাওয়া যায়।
সত্যিই মাথার ঘিলু খেয়ে নিতে পারে এই ভাইরাস?
আমেরিকার সরকারি পাবলিক হেলথ এজেন্সির তথ্য অনুসারে, Naegleria Fowleri-আদৌতে একটি Amoeba (এককোষী জীব)। যেটি হ্রদ, নদী এবং উষ্ণ প্রস্রবণের মতো মাটি এবং উষ্ণ মিষ্টি জলে থাকে। কিন্ত্য মাথার ঘিলু খেয়ে নিতে পারে অ্যামোবিয়া বলা হয় এই কারণেই যখন অ্যামোবিয়া যুক্ত জল নাক দিয়ে ঢুকে উপরে যায় তখন তা মস্তিষ্কে বাসা বাঁধে। আর মাথার সংক্রমণ তৈরি করে। ভয়ঙ্কর এক প্রাণঘাতী এই ভাইরাস।