দেশ জুড়ে অশান্তি, আসিয়ান বৈঠক থেকে বাদ মায়ানমার
সামনেই আসিয়ান দেশগুলির বৈঠক। সেখানে মায়ানমারের উপস্থিতি নিয়ে ভারতের দিকেই তাকিয়ে ছিল দেশগুলি। ভারত ওই দেশের বৈঠকে যোগ দেওয়া নিয়ে কিছু বলেনি। আর এই কিছু না বলাকেই ভারত যে মায়ানমারের বিপক্ষে তা ধরে নেওয়া হয়েছে। তাই এখন জানা যাচ্ছে যে এই দেশ এই বৈঠকে অংশ নেবে না। এই সম্ভাবনাই সবথেকে বেশি। এমনটাই খবর সূত্রের।
বৃহস্পতিবার মায়ানমারের বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর মিলেছে যে ২৪তম আসিয়ান বৈঠকে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা নেই। একটি সরকারী সূত্র এমনটাই ইঙ্গিত করেছে। উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে মায়ানমারের অন্তর্ভুক্তি এড়াতে ভারত চাপের মধ্যে থাকায় বৈঠকে তাঁদের প্রতিনিধিত্ব নজরে ছিল।
এর পিছনে অন্যতম কারণ হল আসিয়ান-মিয়ানমার সম্পর্কের তিক্ততা। পয়লা ফেব্রুয়ারী, ২০২১ সালে সেখানে সেনা অভ্যুত্থানন হয়। তারপর থেকেই সে দেশের সঙ্গে আসিয়ানের সম্পর্ক খারাও হয়। এই অভ্যুত্থানের জেরে অং সান সু চির সরকারকে উৎখাত হয়ে যায় আর তার প্রভাব পড়তে শুরু করে আসিয়ান দেশগুলির মধ্যে সম্পর্কে।
অনেক আগেই জানা গিয়েছিল যে ভারত মিয়ানমারের বিদেশমন্ত্রী উন্না মং লুইনকে আমন্ত্রণ জানাতে পারেনি। তাহলেও পুরো বিষয়টা নির্ভর করছিল ভারতের উপরেই, কারণ আসিয়ান দেশগুলির মধ্যে বড় শক্তিশালী দেশ ভারত। তাই তারা কী চাইছে সেদিকে নজর ছিল। তাঁরা যদি আসিয়ানের সমস্ত দেশগুলির সঙ্গে মায়ানমারের এই বৈঠকে অংশগ্রহনে বিষয়ে এক মত না হত তাহলে সেটা নিয়ে সমস্যা দেখা যেত। তাই আসিয়ান দেশগুলি ভারতের দিকে তাকিয়ে ছিল। ভারত মায়ানমারের যোগদানের বিষয়ে ইতিবাচক সিগন্যাল দেয়নি। তাই মায়ানমারের এই সংগঠনের বৈঠকে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে গিয়েছে বলা ভালো সেই সম্ভবনা খুবই কম।
ভারত মায়ানমারের জান্তা দলের কার্যকলাপ নিয়ে যে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে তা মেনে নিয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে বিক্ষোভকারীদের সাথে আলোচনায় প্রবেশ করতে অস্বীকার করেছে। তুলনামূলকভাবে, এর আগে ভার্চুয়াল ফর্ম্যাটে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী উনা মং লুইন। তাঁদের অংশগ্রহণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভালোভাবে নেয়নি।
মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের জেরে ব্যাপক সমস্যায় রয়েছে জনজীবন। মানুষ বুঝতেই পারছেন না কীভাবে স্বাভাবিক ছন্দে কীভাবে দেশ ফিরবে। মানুষ যেমন বিরক্ত তেমনই বিরক্ত বন্ধু দেশগুলি। আসিয়ান দেশগুলি গতবারেও মায়ানমারের উপস্থিতি চায়নি। এবারেও সেই দিকেই ছিল পরিস্থিতি।