
পাকিস্তানের মাটিতেই বিপাকে হাফিজ! মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ডের কপালে কী জুটল
২৬/১১ মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদ এবার খোদ পাকিস্তানের মাটিতেই বিপাকে পড়ে গেল। পাকিস্তানের অ্যান্টি টেররিস্ট কোর্ট এবার হাফিজকে দোষী সাব্যস্ত করল সন্ত্রাসে আর্থিক মদতের দায়ে। যদিও আগেও পাক আদালত বহুবার হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে একাধিক ব্যবস্থা নেয়। এরপর হাফিজ সইদ গ-হবন্দি হলেও সন্ত্রাসের কার্যকলাপ বন্ধ করেনি।

পাকিস্তানের আদাালত কী জানিয়েছে?
পাঞ্জাব প্রভিন্সে একাধিক আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে হাফিজ সইদের যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। আর তার জেরেই একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে হাফিজের বিরুদ্ধে। এরপর সেই ঘটনা নিয়ে পাকিস্তানে শনিবার থেকে মামলা চলে। আর তার চূড়ান্ত শুনানি হয় আজ।

কেন শনিবার শুনানি হয়নি?
জানা গিয়েছে, হাফিজের বিরুদ্ধে চলা মামলায় মুখ্য সন্দেহভাজনরা উপস্থিত ছিলনা শনিবার। তাই মামলার শুনানি পিছোতে হয়। শেষমেশ বুধবার মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজকে দোষী সাব্যস্ত করে পাকিস্তানের অ্যান্টি টেররিজম কোর্ট।

কীভাবে শুরু হয় হাফিজের বিরুদ্ধের প্রক্রিয়া?
পাকিস্তানে একাধিক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনের বিরুদ্ধে চলেছে তদন্ত। লস্কর-ই-তৈবা এর মধ্যে অন্যতম। আর লস্করের আর্থিক দিক খতিয়ে দেখতে গিয়েই সেখানে প্রতারণা ও দুর্নীতিতে নাম পাওয়া যায় হাফিজের। নাম উঠে আসে মুলতান , গুজরানওয়ালার মতো পাক শহরে হাফিজের একাধিক অবৈধ সংগঠনের।

কেন পাকিস্তান হাফিজরে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হচ্ছে?
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানকে FATF কয়েকদিন আগেই গ্রে লিস্টে নাম রাখে। এই সংগঠন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আর্থিক তছরুপের তদন্ত করে। আর সেই সূত্রেই পাকিস্তানে সন্ত্রাসের আর্থিক মদতের খবর পায় FATF। কার্যত সন্ত্রাসে আর্থিক মদত ইস্যুতে রীতিমতো কোণঠাসা হয়ে যায় ইসলামাবাদ। আর তার জেরেই হাফিজের বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নামতে বাধ্য হয় ইমরান সরকার।
অনুমতি ছাড়াই ব্যক্তিগত তথ্য জানার স্বাধীনতা, পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল ঘিরে বিতর্ক