সরকারি বাসভবনে ঢুকে চাঁদার দাবি! রাঙামাটির সাংসদের অভিযোগে তদন্ত
সংসদ ভবন এলাকায় সাংসদ ঊষাতন তালুকদারের বাসভবনে ঢুকে চাঁদা দাবি করার অভিযোগে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাংলাদেশের পার্বত্য রাঙামাটি এলাকার স্বতন্ত্র সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন
সংসদ ভবন এলাকায় সাংসদ ঊষাতন তালুকদারের বাসভবনে ঢুকে চাঁদা দাবি করার অভিযোগে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চাঁদা না দিলে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয় বলে শেরেবাংলা নগর থানায় অভিযোগ করেছিলেন সাংসদ ঊষাতন তালুকদার। বাংলাদেশের পার্বত্য রাঙামাটি এলাকার স্বতন্ত্র সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
সাংসদ
ঊষাতন
তালুকদারের
কাছ
থেকে
হুমকির
অভিযোগ
পাওয়ার
পর
শেরেবাংলা
নগর
থানার
পুলিশ
সংসদ
সদস্য
ভবন
থেকেই
সাতজনকে
গ্রেপ্তার
করে।
তাঁদের
ঢাকার
মুখ্য
মহানগর
হাকিম
আদালতে
পাঠিয়ে
সাত
দিনের
রিমান্ড
চায়
পুলিশ।
আদালত
রিমান্ড
না
দিয়ে
আসামিদের
এক
দিন
জেলগেটে
জিজ্ঞাসাবাদ
করার
জন্য
পুলিশকে
অনুমতি
দেয়।
শেরেবাংলা
নগর
থানার
ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা
(ওসি)
জি
জি
বিশ্বাস
বলেন,
সাংসদ
ঊষাতন
তালুকদার
অভিযোগ
করেছেন,
বৃহস্পতিবার
রাতে
সাতজন
লোক
তাঁর
সংসদ
ভবনের
অফিসে
ঢুকে
ইদ
বকশিশ
বাবদ
সাড়ে
৫
লাখ
টাকা
দাবি
করে।
এমন
অভিযোগের
ভিত্তিতে
অভিযুক্তদের
গ্রেপ্তার
করা
হয়েছে।
সাংসদ
ঊষাতন
তালুকদার
অভিযোগে
বলেছেন,
বৃহস্পতিবার
রাত
৮টার
দিকে
সংসদ
সদস্য
ভবন-২-এর
২০৩
নম্বর
ঘরে
তিনি
ছিলেন।
অভিযুক্তরা
বেআইনিভাবে
তাঁর
অফিসঘরে
ঢুকে
পড়েন।
পরে
নিজেদের
দুটি
গোয়েন্দা
সংস্থার
কর্মকর্তা
ও
সরকারের
একজন
ঊর্ধ্বতন
কর্মকর্তার
ছোট
ভাইয়ের
পরিচয়
দিয়ে
তাঁর
কাছে
সাড়ে
৫
লাখ
টাকা
চাঁদা
দাবি
করেন।
তিনি
চাঁদা
দিতে
অস্বীকার
করেন।
তখন
অভিযুক্তরা
বিভিন্ন
প্রকার
হুমকি
দিতে
থাকে
বলে
অভিযোগ।
একপর্যায়ে
অভিযুক্তরা
তাঁকে
(ঊষাতন)
হত্যার
হুমকি
দেয়
বলেও
অভিযোগ।
হত্যার
হুমকি
দেওয়ার
এ
ঘটনা
পুলিশের
ঊর্ধ্বতন
কর্তৃপক্ষকে
জানান
সাংসদ
উষাতন
তালুকদার।
ঘটনা
প্রসঙ্গে
সাংসদ
ঊষাতন
তালুকদার
সংবাদ
মাধ্যমকে
জানিয়েছন,
মিথ্যা
পরিচয়
দিয়ে
ঢুকে
অভিযুক্তরা
নিজেদের
গোয়েন্দা
সংস্থার
কর্মকর্তা
পরিচয়
দিয়ে
তাঁর
কাছে
চাঁদা
চান।
চাঁদা
দিতে
না
চাইলে
নানা
প্রকার
হুমকি
দিতে
থাকেন।
একপর্যায়ে
তাঁকে
উঠিয়ে
নেওয়ার
হুমকিও
দেন।
আদালতের
কাছে
পুলিশও
এক
প্রতিবেদন
দিয়ে
বলছে,
সাংসদ
ঊষাতনের
কাছে
আসামিরা
দুটি
গোয়েন্দা
সংস্থার
কর্মকর্তা
এবং
সরকারের
ঊর্ধ্বতন
একজন
কর্মকর্তার
পরিচয়
দিয়ে
ইদ
বকশিশ
বাবদ
সাড়ে
৫
লাখ
টাকা
দাবি
করেন।
চাঁদা
দাবি
করার
অভিযোগে
গ্রেপ্তার
সাত
আসামির
মধ্যে
একজন
বাঘাইছড়ি
পুরসভার
পূর্বতন
মেয়র।
তাঁর
নাম
মহম্মদ
আলমগির
(৩৭)।
অপর
ছয়জন
হলেন
যশোর
ঝিকরগাছার
ওলিয়ার
রহমান
(৩৭),
চট্টগ্রাম
হালিশহরের
মহম্মদ
রাজু
(২৫),
ময়মনসিংহের
গৌরীপুরের
শাখাওয়াত
হোসেন
সোহেল
(৩৫),
যশোর
কোতোয়ালির
শিমুল
হোসেন
(২৪),
কক্সবাজারের
উখিয়ার
ফয়সাল
মাহমুদ
রেদওয়ান
(২১)
ও
উখিয়ার
মাইনুদ্দিন
শাহিন
(২১)।
পূর্বতন
মেয়র
আলমগিরসহ
অন্য
আসামিদের
আইনজীবী
আদালতের
কাছে
তাঁর
মক্কেলদের
নির্দোষ
দাবি
করেন।
ষড়যন্ত্র
করে
তাঁদের
বিরুদ্ধে
এ
মামলা
দেওয়া
হয়েছে
বলে
দাবি
করেন
তাঁরা।
আলমগিরসহ
সাতজনের
আইনজীবী
জয়দেব
বড়াল
দাবি
করেন,
সাবেক
মেয়র
আলমগির
সাংসদ
ঊষাতন
তালুকদারের
কাছে
নয়
লাখ
টাকা
পাবেন।
সোনালি
ব্যাংক
এবং
একটি
পরিবহনের
মাধ্যমে
সাংসদ
ঊষাতনকে
এই
টাকা
দেন
আলমগির।
এর
রসিদও
আদালতের
কাছে
জমা
দেওয়া
হয়েছে
তিনি
জানান।
তবে
সাংসদ
ঊষাতন
তালুকদার
দাবি
করেছেন,
আসামি
আলমগির
তাঁর
কাছে
কোনো
টাকা
পাবেন
না।
ভুয়ো
কাগজপত্র
বানিয়ে
আদালতে
জমা
দিয়ে
তাঁর
কাছে
টাকা
পাওয়ার
মিথ্যা
দাবি
করেছেন।
এদিকে
সংসদ
সদস্য
ভবনের
মতো
সুরক্ষিত
স্থানে
ঢুকে
চাঁদা
চেয়ে
হত্যার
হুমকি
দেওয়ার
ঘটনার
সুষ্ঠু
বিচার
চেয়েছেন
সাংসদ
ঊষাতন
তালুকদার।
গ্রেপ্তার
আসামিদের
দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তি
দাবি
করেন
স্বতন্ত্র
এই
সাংসদ।