মেয়েকে রোগা বানাতে ফিতাকৃমি খাওয়াল মা!
মেয়েটি ডাক্তারদের জানায়, ছোটো থেকেই সে প্রচণ্ড মোটা। এ নিয়ে খোঁটা খেতে হত মায়ের কাছে। মেয়েকে রোগা বানাতে জিমে ভর্তি করা থেকে শুরু করে ওষুধ খাওয়ানো, কিছুই বাদ রাখেননি মা। শেষ পর্যন্ত গোপনে ফিতাকৃমির ডিম জোগাড় করেন ওই মহিলা। মেক্সিকো থেকে একজনকে দিয়ে চোরাপথে ওই ডিম আনিয়েছিলেন। তার পর একদিন জোর করে মেয়েকে গিলিয়ে দেন সেগুলি। কিছুদিন পরই মেয়েটির পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হয়। সে বমি করতে থাকে। কাহিল হয়ে পড়ে। নিজেই যায় ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার প্রথমে ভেবেছিলেন, পেটে বোধ হয় ক্যান্সার হয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, পেটে অন্তত দশটি ফিতাকৃমি ঘুরে বেড়াচ্ছে! ওষুধ দিয়ে সেগুলি বের করার বন্দোবস্ত হয়। মেয়েটি পরে ডাক্তারদের জানায়, কমোড থেকে ফিতাকৃমিগুলি উঠে আসার চেষ্টা করছিল। দু'টি ফিতাকৃমি দৈর্ঘ্যে আন্দাজ ১২ সেন্টিমিটার ছিল।
আপাতত সুস্থ হয়েছে ওই কিশোরী। তাকে এখনও কিছুদিন পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডাক্তাররা। পুলিশ কিশোরীর মাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।