মৃত্যু ৬০০ জনের অধিক মানুষের, দশকের সবচেয়ে বিধ্বংসী বন্যার কবলে নাইজেরিয়া
এ ধরনের বিধ্বংসী ভয়াবহ বন্যা এর আগে কখনও দেখেনি নাইজেরিয়াবাসী। নাইজেরিয়ার বন্যায় ইতিমধ্যেই ৬০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুহারা বলে জানা গিয়েছে। বলা হচ্ছে দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে এই দেশটি।
বড় বিপর্যয়ের মুখে নাইজেরিয়া
বিপর্যয় পরিচালনা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশের সাম্প্রতিক বন্যা রীতিমতো বড়সড় বিপর্যয় এনেছে কারণ বিভিন্ন রাজ্য একাধিকবার সতর্ক দেওয়ার সত্ত্বেও এই ঘটনার জন্য প্রস্তুত ছিল না। নাইজেরিয়ার মানবিক বিষয় ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী সাদিয়া উমর ফারুক রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন যে সর্বাধিক উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষজনকে যেন সরিয়ে আনা হয়।
এক লক্ষের বেশি মানুষ গৃহহারা
মন্ত্রী জানান, দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকল নাইজেরিয়া। এই বন্যার কারণে এক লক্ষের বেশি মানুষ গৃহহারা এবং তাঁরা ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন, অন্যদিকে ২০ হাজারের বেশি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই বছর ভয়াবহ বন্যা
এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত এই বন্যা চলবে। যদিও প্রত্যেক বছর বর্ষার মরশুমের কারণে এই দেশ মাঝারি বন্যার কবলে পড়ে কিন্তু এই বছর তা তাৎপর্যপূর্ণভাবে খুবই ভয়াবহ আকার নিয়েছে। দেশে এই বিধ্বংসী বন্যার কারণ হিসাবে ভারী বৃষ্টিপাত ও জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করছে সেখানকার আবহাওয়া দফতর। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবী অনুযায়ী দুর্বল পরিকল্পনা ও পরিকাঠামোর কারণে এই ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে গিয়েছে। বাড়ি ছাড়াও দেশের একাধিক ক্ষেতের ফসল জলের তলায় ডুবে গিয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই বন্যায় নাইজেরিয়ার ৩৬টি রাজ্যের মধ্যে ২৭টি রাজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নভেম্বর পর্যন্ত চলবে বন্যা
নাইজেরিয়ার আবহাওয়া দফতর সতর্ক করে জানিয়েছেন যে ডেল্টা, রিভার, ক্রস রিভার, বায়েলসা ও আনাম্ব্রা সহ দেশের দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত এই বন্যা পরিস্থিতি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।