শতাধিক ভারতীয় কাবুল বিমানবন্দরে আটক, অভিযোগ অস্বীকার তালিবানদের
তালিবানরা আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর থেকে একের পর এক নৃশংস ঘটনার চিত্র উঠে আসতে শুরু করেছে। সারা দেশে অরাজকতা চলছে। আফগানিস্তানের মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। মহিলাদের উপর ইতিমধ্যে অত্যাচার শুরু হয়ে গিয়েছে। বেশ কয়েকজন মানুষকে ইতিমধ্যে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর সামনে এসেছে। এরইমধ্যে এদিন খবর পাওয়া গিয়েছে যে কাবুল বিমানবন্দরে দেড়শো জনের বেশি মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে। এবং তার মধ্যে বেশিরভাগই ভারতীয় নাগরিক।
যদিও এই ঘটনাকে সরাসরি অস্বীকার করেছে তালিবান মুখপাত্র আহমাদুল্লাহ ওয়াজ। তার কথায়, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। যদিও সূত্রের খবর কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেড়শো জনের বেশি মানুষকে অবৈধভাবে আটক রাখা হয়েছে।
সূত্রের খবর এই আটক থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে আফগান নাগরিক, আফগান শিখরা রয়েছেন। তবে এদের সিংহভাগই ভারতীয় নাগরিক। এক ব্যক্তি যিনি কোনওক্রমে এই বন্দিদশার হাত থেকে বেঁচে পালিয়ে গিয়েছেন, তিনি গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন।
তিনি জানাচ্ছেন, এই মানুষগুলোকে গাড়িতে চাপিয়ে রাত একটায় বিমানবন্দরের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তালিবান জঙ্গিরা এদের মারধরের পর কাবুলের তারাখিলে নিয়ে গিয়েছে, বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়নি।
যে ব্যক্তি খবরটি জানিয়েছেন তাঁর মতে, তারা কোনওমতে গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে নেমে পালিয়ে যেতে পেরেছেন। কিন্তু বাকিদের ভাগ্যে কী জুটেছে তারা তা জানেন না। তবে আন্দাজ করতে পেরে রীতিমতো আতঙ্কিত বোধ করছেন।
আফগানিস্থানে এই মুহূর্তে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা চলছে। তালিবানরা এখনও সরকার গঠন না করলেও সারা দেশজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। বিমানবন্দর এলাকায় সবচেয়ে বেশি বিশৃঙ্খলা চলছে এবং বিশেষ করে আটকে থাকা ভারতীয়রা দেশে ফিরতে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। এখনও সেদেশে বহু ভারতীয় আটকে রয়েছেন। এবং তাদের এ দেশে ফেরত আনার তৎপরতা চলছে। কাবুল থেকে আগে যে সমস্ত ভারতীয়রা এদেশে ফিরেছেন তারা সেই আতঙ্কের স্মৃতি মনে পড়লে আঁতকে উঠেছেন।
তালিবানরা ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, সেই পুরনো শরিয়া আইন মেনেই তারা দেশ শাসন করবে। অর্থাৎ সেই আইন মোতাবেক সকলকে চলতে হবে। আফগানিস্তানে গণতন্ত্র থাকবে না, তা পরিষ্কার করে বলে দেওয়া হয়েছে। এবং শরিয়া আইন মেনেই সেদেশের নারীদের চলতে হবে। অপরাধের শাস্তি যা হবে, তাও সেই শরিয়া আইন মেনেই হবে। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে তালিবান জঙ্গিরা।