'সেলফি' বিতর্কে আইনি লড়াইয়ে হার হনুমানের! 'কপিরাইট' নিয়ে তাকে যা জানিয়েছে আদালত
২০১১ সালে ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে নারুতো এক কাণ্ড ঘটিয়েছে। সকলের অজান্তেই সে ক্যামেরা নিয়ে তুলে নিয়েছিল কয়েকটি সেলফি!
২০১১ সালে ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে নারুতো এক কাণ্ড ঘটিয়েছে। সকলের অজান্তেই সে ক্যামেরা নিয়ে তুলে নিয়েছিল কয়েকটি সেলফি! এক্কেবারে দাঁত বার করে হেসে সেই ছবিতে 'পোজ' দিয়েছিল নারুতো। না! নারুতো কোনও ছোট বাচ্ছা নয়। সে ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপের একটি বানর। আর নারুতোর সেই সেলফির কপিরাইট নিয়েই চলেছে আইনি লড়াই।
নরুতোর সেই সেলফির কপিরাইটের মামলা শুরু হয় মার্কিন আদালতে। মামলায় দাবি ওঠে যে ওই হনুমানটির ছবির ওপর অধিকার রয়েছে কেবল সেই হনুমানেরই। ছবিটির কপিরাইট নিয়ে মামলায় করা হয়। বিতর্ক ওঠে একজন হনুমান কী করে আইনি পন্থায় কপিরাইটের দাবি করতে পারে, তা নিয়ে। যদিও হনুমানটির হয়ে এই লড়াইয়ে নামে 'পিপল ফর এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট ফর অ্যানিম্যালস' (পেটা) । হনুমান যেহেতু কথা বলতে পারে না, তাই আদালতের অনুমতি নিয়ে 'পেটা' কপিরাইটের দাবি জানিয়ে হনুমানের প্রতিনিধিত্ব করে । তবে পেটার দাবি খারিজ করে দেয় মার্কিন আদালত।
মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, মানুষ ছাড়া কেউই কোনও মামলা দায়ের করতে পারবে না। আর সেই মর্মেই এই মামলায় পিছিয়ে পড়ে হনুমান নারুতো। তবে আদালত মেনে নিয়েছে যে ছবি গুলো নারুতোরই তোলা। একটি বইতে ওই হনুমানের ছবির প্রকাশিত হওয়া থেকে শুরু হ. বিতর্ক। তবে , শেষমেশ মার্কিন সংবিধানের নিয়ম মেনে নারুতোর ছবির কপিরাইটের আপিলই খারিজ হয়ে যায়।