সীমান্তে উত্তেজনা, অথচ মুখে মধু দুই রাষ্ট্রপ্রধানের
সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই জার্মানিতে করমর্দন করলেন ভারত ও চিনের রাষ্ট্রপ্রধান, একে অপরের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী ও চিনা প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং। তবে হবে না কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক।
সীমান্ত নিয়ে দুই রাষ্ট্রের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হলে কী হবে, জার্মানিতে দাঁড়িয়ে একে অপরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। শুক্রবার জার্মানিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনা প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং শুধু করমর্দনই করলেন না, সন্ত্রাসদমন নিয়ে একে অপরকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন।
মোদী ও জিনপিং বর্তমানে জি-২০ সম্মেলনের জন্য দুদিনের জার্মানি সফরে রয়েছেন। হ্যামবুর্গ শহরে এই সম্মলনের ফাঁকেই ব্রিকস রাষ্ট্রগুলি নিজেদের মধ্যে একটি বৈঠক সেরে নেয়। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের থেকে জারি হওয়া বিবৃতি অনুযায়ী ব্রিকস রাষ্ট্রগুলির বৈঠকের পর চিনা প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং বলেন, ভারত যেভাবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়ছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। ভারতের সভাপতিত্বে ব্রিকস যে গতি পেয়েছে তা উল্লেখযোগ্য বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে ভারতের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্যও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট। অন্যদিকে চিনের প্রশংসা করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
তবে দুই রাষ্ট্রপ্রধান যে কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন না, তা ভারত ও চিনের পক্ষ থেকে আগেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারই চিনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য উপযুক্ত সময় এটা নয়। ভারতও জানিয়ে দেয়, তারা কোনও দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসতে চায় না। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, অন্যান্য রাষ্ট্রগুলির সামনে নিজেদের শীতল সম্পর্ক জাহির করতে চায় না দুই রাষ্ট্রই। সেকারণেই সামনা-সামনি সৌজন্য বিনিময় করলেও আসলে মোদী- জিনপিংয়ের মধ্যে সম্পর্কের শীতলতা এখনও কাটেনি।