এসসিও সম্মেলনে ফের শি জিনপিংয়ের মুখোমুখি মোদী
ডোকলাম পর্বের পর এই প্রথম মুখোমুখি হলেন মোদী–জিংপিং। কিরঘিজস্থানের বিশকেকে এসসিও সামিটে যোগ দিতে গিয়েছেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান।
ফের একবার মুখোমুখি হলেন মোদী-জিনপিং। কিরঘিজস্থানের বিশকেকে এসসিও সামিটে যোগ দিয়েছেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। সেখানেই সৌজন্য সাক্ষাত করেন তাঁরা। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে কী উঠে আসে সেদিকেই সকলের নজর রয়েছে।
২০১৭ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত টানা তোলপাড় চলেছে ডোকলাম সীমান্ত। ভারত-চিন সম্পর্ক একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছিল সেসময়। ডোকলাম সীমান্তে ভারত এবং চিন সেনার দ্বন্দ্বে দুই দেশের সম্পর্কে চিড় ধরেছিল। তার উপরে আবার দলাই লামার তাওয়াং সফরে প্রবল রুষ্ট হয়েছিল চিন। দলাই লমার অরুণাচল প্রদেশে যাওয়া কিছুতেই মেনে নেয়নি বেজিং। এই নিয়ে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রক পর্যায়ে চরম বার্তা বিনিময় হয়েছিল। চিনের সব অপত্তি উপেক্ষা করেই দলাই লামার চিন সফরকে সমর্থন জানিয়েছিল মোদী সরকার। ডোকলাম আর দলাই লামার জোড়া ফলায় দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছিল।
#WATCH Prime Minister Narendra Modi meets President of China Xi Jinping on the sidelines of the SCO Summit. #Kyrgyzstan pic.twitter.com/Bw1AqQeAk1
— ANI (@ANI) June 13, 2019
যার জেরে লাথু লা দিয়ে মানস সরোবর যাত্রায় আপত্তি জানায় চিন। শেষে অন্য পথে মানস সরোবর যাত্রা করেন ভারতীয় যাত্রীরা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তখন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে বেজিং পাঠায় ভারত।
সেই বিবাদে মোটের উপর ধামা চাপা পড়লেও নতুন করে দুই দেশের মত বিরোধ শুরু হয়েছিল হাফিজ সঈদকে জঙ্গি ঘোষণা নিয়ে। সে বিবাদও মিটে গিয়েছে। মোদী দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর শি জিংপিং শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিলেন। তারপরেই এই প্রথম মুখোমুখি হলেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান।
কিরঘিজস্থানের বিশকেকে এসসিও সামিটে যোগ দেওয়ার আগে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বৈঠক করেন। একে সৌজন্য সাক্ষাত বলে দাবি করা হলেও, কূটনৈতিক বিষয়ে য আলোচনা হয়নি তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। মোদী-জিনপিংয়ের বৈঠকের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেছেন, আর্থিক এবং সামাজিত উন্নয়নের লক্ষ্যেই দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান কথা বলেছেন। এই বৈঠকের পর ভারত-চিন সম্পর্কে উন্মতি হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।