৪১ বছরের ডাক্তারের বিছানায় মিলল ১৮ বছরের উঠতি মডেলের মৃতদেহ, বিস্তারিত জানুন
ফ্লোরিডার এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডাক্তারের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয়েছে এক যুবতি মডেলের মৃতদেহ।
ফ্লোরিডার এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডাক্তারের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয়েছে এক যুবতি মডেলের মৃতদেহ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে আগের রাতে তাঁরা উদ্দাম পার্টি করেন। প্রচুর মদ্যপান, মাদক সেবন ও যৌনমিলন - কিছুই বাদ ছিল না। পুলিশের অনুমান ড্রাগ ওবারডোজেই মারা গিয়েছেন ওই উঠতি মডেল। এদিকে ওই মডেলের বাড়ির লোকের দাবি তাকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে ১৮ বছরের ওই মডেলের নাম ওলিয়া ল্যাংলি। ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেলে ভারতীয় বংশোদ্ভূত জরুরী বিভাগের ডাক্তার, ৪১ বছরের নাভাল পারিখের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ওই যুবতীর দেহ উদ্ধার করা হয়। বেডরুমে বিবস্ত্র অবস্থায় মেলে তার দেহ। খাটের পাশে সাইড টেবিলে প্রচুর পরিমাণে মাদক দ্রব্যও মেলে।
পুলিশকে ডা. পারিখ জানিয়েছেন, ওলিয়ার সঙ্গে ঘটনার আগের রাতে তাঁর একটি স্পোর্স্টস বারে আলাপ হয়। এরপর তারা ওই বারে অল্প সময় মদ্যপান করেন। তারপর দুজনে ওই অ্যাপার্টমেন্টে আসেন। এরপর তারা বেশ খানিকক্ষণ একসঙ্গে মাদক সেবন করেন। তার মধ্য়ে কোকেন, এক্সট্যাসি, গাঁজা সবই ছিল। এরপর পারিখ দাবি করেছেন, 'দু'জনের সম্মতিক্রমে' তারা সেক্স করেন। তারপর দুজনেই ঘুমিয়ে পড়েন। ভোর তিনটে নাগাদ ডা. পারিখ খাট থেকে উঠে সোফায় চলে যান ঘুমোতে। সেসময় ওলিয়া নাক ডাকছিল বলে দাবি করেছেন পারিখ। কিন্তু সকালে ঘুম ভাঙার পর ওলিয়াকে ডাকতে গিয়ে তাঁকে মৃত অবস্থায় পান।
ময়না তদন্তে ওলিয়ার দেহে, ফেন্টালিন, জানাক্স সহ প্রচুর মাদকের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। তাই পুলিশ এই মৃত্যুর ঘটনাকে ড্রাগ ওভারডোজ বলেই মনে করছে। কিন্তু ওলিয়ার পরিবারের দাবি 'দু'জনের সম্মতিক্রমে' যৌনমিলন হয়েছিল বলে পারিখ যে দাবি করছেন, তা মিথ্যে। তাদের বক্তব্য ডা. পারিখ ওলিয়াকে মাদক সেবন করিয়ে সংজ্ঞাহীন করে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। তাতেই মৃত্যু হয়েছে ওলিয়ার।
পুলিশ এ দাবির যৌক্তিকতা না পেলেও এলিয়ার মা ফেসবুকে তাঁর বন্ধুদের কাছে আবেদন করেছেন ওলিয়া যদি কাউকে সাহায্য চেয়ে মেসেজ পাঠায়, তা পুলিশকে জানাতে। তবে অনেকেরই বক্তব্য একজন ডাক্তারের বাড়িতে এক যুবতীর ড্রাগ ওভারডোজে মৃত্যু হল, এটা দুর্ভাগ্যের। ওই ডাক্তারের উচিত ছিল যুবতীর খেয়াল রাখা।