ভাড়াটে সেজে অভিনব উপায়ে ঢাকায় বাড়ি লুট
ঢাকার বাড্ডায় ভাড়াটিয়া সেজে তিন নারী বাড়িওয়ালা দম্পতিকে অজ্ঞান করে, তারপর সেই বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার, টাকা নিয়ে পালিয়েছে।
বাংলাদেশের ঢাকার বাড্ডায় ভাড়াটিয়া সেজে তিন নারী বাড়িওয়ালা দম্পতিকে অজ্ঞান করে। এরপর সেই বাসা থেকে স্বর্ণালংকার,টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, তিনি বাড়ির মালিকের স্ত্রী হোসনে আরার সাথে কথা বলেছেন। হোসনে আরা পুলিশকে জানিয়েছে, গত ১০/১২ দিন আগে তিনজন বোরকা পরিহিত নারী আসেন বাসা ভাড়া নেয়ার জন্য।
সেই সময় তারা এক কামরার একটা বাসার জন্য এক হাজার টাকা অগ্রিমও দিয়ে যায়।
গত শনিবার তারা ঐ বাসায় আসে থাকার জন্য। পরের দিন রবিবার সকালে বাড়িওয়ালার কক্ষে যেয়ে তাদের খোঁজখবর নিতে থাকে।
হোসনে আরা জানিয়েছেন, শুরু থেকেই তারা অনেক আন্তরিক ছিল। রবিবার সকালে তারা সকালের নাস্তা খাওয়ারও প্রস্তাব করে।
এক পর্যায়ে হোসনে আরা এবং তার স্বামী বেলায়েত হোসেনকে ঐ তিনজন রুটি এবং হালুয়া খেতে দেন।
এরপরেই তারা অসুস্থবোধ করেন এবং অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পুলিশ বলছে, এরপর ঐ বাসা থেকে এক ভরির বেশি স্বর্ণালংকার এবং প্রায় ৫৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় তিন নারী।
উল্লেখ্য, একতলা টিনশেডের এই বাড়িতে বাড়িওয়ালা দম্পতি ছাড়াও, তাদের পুত্রবধূ থাকতেন।
তাদের ছেলে থাকেন ইতালি। আর একটা রুম খালি ছিল। সেই রুমই ভাড়া দিয়েছিলেন তারা।
পুত্রবধূ তার ছেলেকে স্কুল থেকে বাসায় ফিরে দেখেন তার শশুর-শাশুড়ি অজ্ঞান হয়ে পরে আছে। এবং বাসার জিনিসপত্র খোয়া গেছে। এরপর তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, এর আগে এ বছরের অগাস্টে ঢাকার ডেমরায় ঠিক একই ভাবে খাবার খাইয়ে ভাড়াটিয়া সেজে কয়েকজন নারী বাড়িওয়ালা দম্পতিকে অজ্ঞান করে এবং বাসার জিনিস লুট করে নিয়ে যায়। তবে ঐ দম্পতিকে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তারা মারা যান।
পুলিশ বলছে, এই ধরনের ঘটনা নতুন, এর জন্য বাড়িওয়ালাদের সর্তক থাকতে হবে।
ওসি রফিকুল ইসলাম বলেছেন, এই দুটি ঘটনায় দেখা গেছে তারা ভাড়াটিয়াদের কোন পরিচয় পত্র, ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা কোন প্রকার কাগজপত্র রাখেনি। ডেমরার ঘটনা এখন ডিবি পুলিশ তদন্ত করছে।
আর বাড্ডা থানার ওসি জানিয়েছেন, বাড্ডার বাড়িওয়ালারা অসুস্থ এবং তারা এখনও হাসপাতালে। তাই এখনও কোন মামলা হয় নি। তবে পুলিশ এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।