দাবানলের জেরে তৈরি চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ায় ঘরছাড়া হতে পারেন অগুনতি অস্ট্রেলিয়াবাসী
দাবানলের জেরে তৈরি চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ায় ঘরছাড়া হতে পারেন অগুনতি অস্ট্রেলিয়াবাসী
প্রায় দু'মাসেরও বেশি সময় ধরে বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ার একটা বড় অংশ। এই ভয়াবহ দাবানলে প্রাণ হারিয়েছে অগুনতি বন্যপ্রাণী। একরের পর একর জমি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে আগুনে।
এমনই ভয়াবহ অবস্থায় বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে অস্ট্রেলিয়ার তাপমাত্রাও। এই চরমভাবাপন্ন জলবায়ুতে অস্ট্রেলিয়ার বিস্তীর্ণ অংশ ক্রমশ শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে বলে ইতিমধ্যেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মার্কিন জলবায়ু-বিদ এবং ভূ-বিজ্ঞানী মাইকেল ম্যান রয়টার্স।
বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে অস্ট্রেলিয়া
দিনের পর দিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠতে পারে অস্ট্রেলিয়া। সেক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ানদের দুর্ভাগ্যজনকভাবে উদ্বাস্তু শিবিরে যোগ দিতে হতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের।
দাবানলের ধ্বংসলীলা
এখনো পর্যন্ত অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ভয়াবহ আগুনে, পুড়ে ধ্বংস হয়ে গেছে দুই হাজারের বেশি বসত বাড়ি এবং ৫৫ লাখ হেক্টর জমি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন এই আগুনের তীব্রতা বাড়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করছে। দেশটির স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য মতে, পুরো অঞ্চলটাই কার্যত দাবানলের কবলে পড়ে ধ্বংস হয়ে গেছে।
উদ্ধারে সেনাবাহিনী
কিছুতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না অস্ট্রেলিয়া সরকার। বিলুপ্তির ঝুঁকিতে পড়েছে কোয়েলা, প্লাটিপাসের মতো প্রাণী। এমতাবস্থায় তিন হাজার সেনা মোতায়েন করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
এই সংকটজনক পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার বিষয়ে কয়েক সপ্তাহের পর্যালোচনার পরে, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন রবিবার বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সহ দুর্যোগের বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ জানার জন্য উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের প্রস্তাব করা হবে।