সামরিক নেতৃত্ব আফগানিস্তানে কোনও রকম পরিকল্পনা নিয়ে মাথাই ঘামায়নি, জানাচ্ছে রিপোর্ট
আফগানিস্তানে দীর্ঘকাল সামরিক কৌশল নিয়েও যখন কোনও তল খুঁজে পায়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন পশ্চিমি বাহিনী, তখন আবশ্যিক হয়ে পড়েছে তালিবানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা। কিন্তু কাতারের রাজধানী দোহায় অনেকগুলি রাউন্ড কথা হওয়ার পরেও শান্তিসূত্র এখনও খুঁজে বের করতে পারেনি কোনও পক্ষই। আর এরই মধ্যে সামনে এল কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।

ওয়াশিংটনে অবস্থিত সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক এন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ-এর একটি রিপোর্টের মতে, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে সামরিক এবং অসামরিক নেতারা সেখানকার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কাজটি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছে যা বিশেষজ্ঞদের কাছে বেশ আশ্চর্যজনক ঠেকেছে।
এজেন্সি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়াশিংটনের ওই সংস্থাটির রিপোর্ট যা পরিচিত 'টেল মি হাউ দিস এন্ডস: মিলিটারি এডভাইস, স্ট্র্যাটেজিক গোলস এন্ড দ্য 'ফরএভার ওয়ার' ইন আফগানিস্তান' নাম, তাতে বলা হয়েছে এই কথা। এছাড়া বুধবার, ১০ জুলাই, একটি প্যানেল আলোচনাতেও উঠে এসেছে এই একই বিষয়।
আফগানিস্তানের অবস্থা হবে সোমালিয়া, লিবিয়ার মতো
প্যানেলে উপস্থিত অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডেভিড বার্নও বলেন যে অবস্থা এইরকমই চলতে থাকলে সোমালিয়া বা লিবিয়াতে যে পরিস্থিতি হয়েছে, আফগানিস্তানেও তাই হবে। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে, তাহলে বাইরে থেকে তারা সেখানকার পরিস্থিতির উপরে নজর রাখতে পারবে। আর যদি অবস্থা বেগড়বাই হয়, তাহলে প্রয়োজনমাফিক ওয়াশিংটন সেখানে সেনা পাঠিয়ে তার মোকাবিলা করতে পারে।
ঊনষাট পাতার ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানের প্রথম দিকের কথা এবং কীভাবে সেখানে যুদ্ধের ধরন বদলেছে, হোয়াইট হাউসের বিভিন্ন নেতৃত্বের সময়কালে।
রিপোর্টের শেষের দিকে বলা হয়েছে যে সামরিক নেতৃত্বের উচিত অসামরিক নেতৃত্বের পথ থেকে সরে দাঁড়ানো যাতে তারা তাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে, বিশেষ করে প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে।
কিন্তু বাস্তবে দেখা গিয়েছে যে আফগানিস্তান নিয়ে খুব বিশেষ চিন্তাভাবনা কেউই করেনি।