নয়াদিল্লি সফরে এসে ভারত-চিন 'সম্পর্ক' নষ্ট করছেন পম্মেও, আজব দাবিতে সরব বেজিং
দিল্লিতে এসে চিনকে হুঁশিয়ারি দেন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও। এবং এরপরই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে বেজিং। এবং চিনের তরফে এশিয়ায় অবস্থিত প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিহাদ সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয় আমেরিকাকে। বেজিংয়ের তরফে এদিন অভিযোগ করা হয় যে মাইক পম্পেও দিল্লিতে এসে চিন এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট করছে।

ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি
ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে একাধিকবার বৈঠকের পরও উত্তেজনা যেন কিছুতেই প্রশমিত হচ্ছে না। এরই মাঝে টু প্লাস টু আলোচনায় অংশ নিতে ভারতে এসেছেন আমেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও। আর এসেই ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে চিনকে কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি।

ভারত-চিন সীমান্ত ইস্যুতে সবরকমভাবে দিল্লির পাশে আমেরিকা
ভারত-চিন সীমান্ত ইস্যুতে সবরকমভাবে দিল্লির পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। বলেন, 'যে কোনওরকম তর্জন-গর্জন রুখতে অ্যামেরিকা সবসময় ভারতের পাশে রয়েছে।' একইসঙ্গে লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পরিস্থিতি নিয়েও আজ মুখ খোলেন পম্পেও। ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যে কোনও পদক্ষেপে ওয়াশিংটন দিল্লিকে সবরকমভাবে সমর্থন করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এরপরই চিন দাবি করে যে বেজিংয়ের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দেশের সম্পর্ক খারাপ করার লক্ষ্যেই ভারতে এসেছেন পম্পেও।

বৈঠক নিয়ে চিনের বক্তব্য
এই বিষয়ে চিনের তরফে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, 'পম্পেওর আক্রমণ এবং অভিযোগ নতুন নয়। তবে এই পুরো অভিযোগ ভিত্তিহীন। এই পুরো সফর এই সফর চলাকালীন বক্তব্য স্নায়ুযুদ্ধের মানশিকতা থেকে বলা হয়েছে আমেরিকার তরফে। কিন্তু এই সফরের জেরে আঞ্চলিক শান্তি এবং ভারসাম্য নষ্ট হবে দক্ষিণ এশিয়ার।'

প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক সহযোগিতা
এদিকে ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক সহযোগিতায় আরও গতি আনতে গতকালই দিল্লি এসেছেন অ্যামেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও ও ডিফেন্স সেক্রেটারি মার্ক টি এসপার। গতকাল থেকে এখনও পর্যন্ত দু'দেশের কূটনৈতিক স্তরে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

পম্পেও-ডোভাল বৈঠক
সাউথ ব্লকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে আজ বৈঠক করেন মাইক পম্পেও। আধিকারিক সূত্রে খবর, লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষের পরিস্থিতি নিয়ে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে বৈঠক হয়েছে তাঁদের মধ্যে। এরপর পম্পেও বলেন, 'ভারতের সার্বভৌমত্ব ও তার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়াসে আমেরিকা সবসময় ভারতের পাশে দাঁড়াবে। আমরা পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করতে বদ্ধপরিকর।'

চিনকে তোপ পম্পেওর
আজ সকালে দিল্লিতে ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল পরিদর্শন করেন পম্পেও। ওয়ার মেমোরিয়াল ঘুরে ১৫ জুন চিনের সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন জওয়ানের শহিদ হওয়ার বিষয়ে বলেন, 'সম্প্রতি গালওয়ান উপত্যকায় যে জওয়ানরা তাঁদের জীবন দিয়েছেন তাঁদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানালাম।' এদিকে মঙ্গলবারের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারতমহাসাগরকে মুক্ত পথ তৈরির করা নিয়েও আলোচনা হয় দু'পক্ষের৷ যার জেরে আরও খাপ্পা হয়েছে চিন।

রাত পোহালেই নির্বাচন, প্রথম দফায় পাল্লা ভারী কার? একনজরে অঞ্চলের ভোট সমীকরণ