নারী-পুরুষ একে অপরকে ছাড়াই জন্ম দিতে পারবে সন্তানের!
লন্ডন, ১৪ সেপ্টেম্বর : ছোট থেকে কিছু ধ্রুব সত্য জেনে আমরা বড় হই। যেমন সূর্য পূর্বদিকে ওঠে অথবা নারীরাই সন্তানের জন্ম দিতে পারেন। তবে আগামী দিনে এমন যেকোনও ধারণাই ভুল প্রমাণিত হতে পারে। অন্তত বিজ্ঞানীদের দাবি তেমনই। কারণ তাঁদের দাবি, সন্তানের জন্ম দিতে নারীসঙ্গ আর প্রয়োজন হবে না পুরুষের। বিজ্ঞানীরা এমন এক গবেষণা চালাচ্ছেন যেটি সফল হলে সৃষ্টির নিয়মকে কার্যত বদলে ফেলা সম্ভব হবে। [বন্ধ বইয়ের পাতাও এবার পড়ে নেওয়া যাবে সহজে!]
একদল ব্রিটিশ বিজ্ঞানী পুরুষের বীর্য ও স্ত্রীর ডিম্বাশয়ের মিলন না ঘটিয়েই ছোট ইঁদুরের জন্ম দেওয়াতে সক্ষম হয়েছেন। যাকে এককথায় নজিরবিহীন বলা যেতেই পারে। [পৃথিবীতে মোট কত ধরনের প্রজাতি রয়েছে জানেন? জানলে চোখ কপালে উঠবে]
বিজ্ঞানী দলের প্রধান টনি পেরি বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক। তিনি জানিয়েছেন, সন্তান জন্মের জন্য একটি ডিম্বাণু ও একটি শুক্রাণুর প্রয়োজন হয়। নারী শরীরের ডিম্বাণু পুরুষের শরীরের শুক্রানুর সঙ্গে মিলিত হয়ে জাইগোট তৈরি করে। তারপরই মহিলারা গর্ভধারণ করে। [এবার জলের ফোঁটায় চলবে কম্পিউটার]
তবে নির্দিষ্ট উপায়ে ডিম্বাণুর পরিবর্তে ত্বকের বা অন্য জায়গার কোশ ব্যবহার করে সাফল্য আসতে পারে। এর সাহায্যেও এমব্রায়ো তৈরি হতে পারে। এর ফলে একজন সমকামী পুরুষও সন্তানের জন্ম দিতে পারবে। অথবা পুরুষরা নিজেরাই একা সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন। [এবার আপনার পোশাক হয়ে উঠবে টাচ স্ক্রিন!]
ক্যানসারের ওষুধ সেবনে অথবা রেডিও থেরাপির ফলে অনেক নারীর মা হওয়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। তাদের ক্ষেত্রে সন্তানের জন্ম দেওয়া সহজ হবে। অর্থাৎ শুধু পুরুষরাই নন, মহিলারাও এককভাবে সন্তানের জন্ম দিতে সক্ষম হবে। এক্ষেত্রে পুরুষের ক্ষেত্রে যেমন শুক্রাণুর সঙ্গে কোশের মিল ঘটানো হতো, মহিলাদের ক্ষেত্রে ডিম্বাণুর সঙ্গে কোশের মিলন ঘটানো হবে।
এই গবেষণাটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এই নিয়ে আরও চর্চা চলছে। এই প্রক্রিয়া সফল হলে একাধিক বিপন্ন প্রজাতিকে সংরক্ষণ এবং তাদের প্রজনন করানোর রাস্তা খুলে যাবে বলেও বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন।