যৌন কেলেঙ্কারির ছায়া নোবেলেও, নেই এবার সাহিত্যে নোবেল
যৌন কেলেঙ্কারি ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে আর তাকে কেন্দ্র জনমানসে আস্থা হারিয়েছে অ্যাকাডেমি। তাই এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুইডিশ নোবেল অ্যাকাডেমি।
যৌন কেলেঙ্কারি ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে আর তাকে কেন্দ্র জনমানসে আস্থা হারিয়েছে অ্যাকাডেমি। তাই এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুইডিশ নোবেল অ্যাকাডেমি। ২০১৯ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণার সময় ২০১৮ সালের পুরস্কারও ঘোষণা করা হবে। শুক্রবার সুইডিশ নোবেল অ্যাকাডেমির স্থায়ী সেক্রেটারি অ্যান্ডার্স ওলসন বলেন, 'পরবর্তী বিজয়ী ঘোষণার আগে অ্যাকাডেমির ওপর জনসাধারণের আস্থা ফেরানোটা দরকার। তার জন্য একটু সময় লাগবে। আগের এবং ভবিষ্যতের নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিকদের , নোবেল ফাউন্ডেশন এবং জনসাধারণকে সম্মান জানাতেই এই সিদ্ধান্ত'।
[আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়ে কালবিলম্ব নয়, রাজ্যের আর্জি খারিজ করে সমাধান-বার্তা হাইকোর্টের]
উল্লেখ্য, নোবেল পুরস্কারের ছয় বিভাগের মধ্যে বাকি পাঁচটির পুরস্কার নরওয়ের অ্যাকাডেমি থেকে দেওয়া হলেও সাহিত্যে পুরস্কার দেওয়ার দায়িত্ব সুইডিশ অ্যাকাডেমির।
২০১৭-র গত বছর শেষের দিকেই যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছিল ফরাসি আলোকচিত্রী জঁ-ক্লদ আরনল্টের বিরুদ্ধে। তিনি একদিকে সুইডিশ অ্যাকাডেমি পরিচালিত একাধিক সাংস্কৃতিক প্রকল্পের দায়িত্বে ছিলেন। পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী কবি ক্যাটরিনা ফ্রস্টেনসন ছিলেন সুইডিশ অ্যাকাডেমির সদস্য। গতবছর থেকেই যৌন হেনস্থা নিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রের নারীরা আওয়াজ তুলেছেন।
শুরু হয়েছে আন্দোলন #মি টু। সেই ক্যাম্পেইনে অনুপ্রাণিত হয়ে গত নভেম্বরে আরনল্টের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেন ১৮ জন মহিলা। এরপর থেকেই ডামাডোল বেধে যায় সুইডিশ অ্যাকাডেমির ভেতরে-বাইরে। সাধারণ মানুষ তো বটেই অ্যাকাডেমির কয়েকজন সদস্যও আরনল্টের স্ত্রী ফ্রস্টেনসনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন। তবে অ্যাকাডেমির ভোটাভুটিতে টিকে যান ফ্রস্টেনসন।
এর প্রতিবাদে ১৮ সদস্যের কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন ক্লাস অস্টেরগ্রেন, কোজেল ইসেপমার্ক এবং পিটার ইংলুন্ড। এতে অ্যাকাডেমির বিরুদ্ধে সাধারণ নানুষের ক্ষোভ, অনাস্থা বাড়তে থাকে। চাপে পড়ে গত এপ্রিল মাসে পদত্যাগ করেন ফ্রস্টেনসন ও অ্যাকাডেমি প্রধান দানিয়ুস।
এরপরই আদৌ এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার দেওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার এনিয়ে নোবেল কমিটির ১০ সদস্য এক বিশেষ বৈঠকে বসেন। সেখানেই এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার না ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত হয়। সুইডিশ অ্যাকাডেমির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'অ্যাকাডেমির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ায় এবং অ্যাকাডেমির ওপর মানুষের আস্থা কমে যাওয়ার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।' শুধু তাই নয় অ্যাকাডেমির পরিচালনা সংক্রান্ত যাবতীয় সংকট সমাধানের কথাও বলা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
১৮৯৫
সালের
নভেম্বর
মাসে
স্যার
আলফ্রেড
নোবেল
এক
ইচ্ছাপত্রে
তাঁর
সারাজীবনের
মোট
উপার্জনের
৯৪
শতাংশ
(৩
কোটি
সুইডিশ
ক্রোনার)
দিয়ে
বিভিন্ন
ক্ষেত্রের
কীর্তিমানদের
পুরষ্কৃত
করার
বলেছিলেন।
তাঁর
মৃত্যুর
পর
অনুযায়ী
নোবেল
ফাউন্ডেশন
গঠিত
হয়।
ঠিক
হয়,
তারাই
আলফ্রেড
নোবেলের
রেখে
যাওয়া
অর্থের
দেখভাল
করবে
এবং
নোবেল
পুরস্কারের
বিষয়ে
যাবতীয়
ব্যবস্থাপনা
করবে।
বিজয়ী
নির্বাচনের
দায়িত্ব
সুইডিশ
একাডেমি
আর
নরওয়ের
নোবেল
কমিটিকে
ভাগ
করে
দেওয়া
হয়।
এর
আগে
ইতিহাসে
মাত্র
দুবার
সাহিত্যে
নোবেল
পুরষ্কার
দেওয়া
হয়নি।
১৯৪৩
সালে
বিশ্বযুদ্ধের
গনগনে
পরিবেশে
রাজনৈতিক
অস্থিরতার
জেরে
নোবেল
পুরস্কার
দেওয়া
বন্ধ
ছিল।
আর
১৯৩৫
সালে
যোগ্য
বিজয়ী
না
পাওয়া
যাওয়ায়
পুরস্কার
দেওয়া
হয়নি।
[আরও পড়ুন: 'কালনাগিনী' বিজেপি ঢোকার চেষ্টা করছে বাংলায়! বিদায়-বার্তায় 'গান' শোনালেন মদন]