ট্রাম্পের টুইটের সত্যতা যাচাই, জুকারবার্গের প্রতিক্রিয়া নিয়ে টুইটারে কটাক্ষ ফেসবুক সিইওকে
ট্রাম্পের টুইটের সত্যতা যাচাই, জুকারবার্গের প্রতিক্রিয়া নিয়ে টুইটারে কটাক্ষ ফেসবুক সিইওকে
ফেসবুক সিইও মার্ক জুকারবার্গের মতে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বক্তব্যের সতত্য–যাচাই করা উচিত নয়। যদিও ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতার এই মন্তব্যের জন্য তাঁরই প্রতিদ্বণ্দ্বী টুইটারের কাছে সমালোচিত হয়। প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটের সত্যতা–যাচাই করার সিদ্ধান্ত নেয় টুইটার। সেই সিদ্ধান্ত নিয়েই মন্তব্য করেন জুকারবার্গ।
ট্রাম্পের টুইটের সত্যতা যাচাই করার সিদ্ধান্ত টুইটারের
মঙ্গলবার মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার সিদ্ধান্ত নেয় যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের মেল ইন ব্যালটের টুইটের সত্যতা যাচাই করা হবে। টুইটার ট্রাম্পের এই টুইটকে মিথ্যা ও অবাস্তব বলে দাবি করে এবং তারা পাঠকদের এই বিষয়ে সত্যতা যাচাই করার পরামর্শ দিয়েছিল৷ টুইটারের এহেনও সিদ্ধান্তের পর যা নিয়ে প্রেসিডেন্টের রোষের মুখে পড়তে হয়। তবে টুইটারের এই পদক্ষেপকে স্বাস্ত জানিয়েছেন বহু নেটিজেন। তাঁদের মতে অনেক জনপ্রিয় ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্ট থেকে অনেকসময়ই বিভ্রান্তিকর খবর প্রচার করা হয়, যেখানে টুইটারের হস্তক্ষেপ বা বাধা থাকে না।
ট্রাম্পের রোষের মুখে টুইটার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফতোয়া জারি করবেন বলে জানা গিয়েছে৷ এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানির ব্যবহারবিধি নিয়ে বিশেষ নির্দেশে স্বাক্ষর করার কথাও রয়েছে তাঁর৷ হোয়াইট হাউস আধিকারিকরা জানিয়েছেন ট্রাম্প ভয় দেখিয়েছেন তিনি ওয়েবসাইট বন্ধও করে দিতে পারেন৷ এই রণাঙ্গনে ঘৃতাহুতির কাজ করেন ফেসবুকের মার্ক জুকারবার্গ।
জুকারবার্গের প্রতিক্রিয়া
টুইটারের পদক্ষেপ নিয়ে জুকারবার্গ প্রশ্ন তোলেন। ফক্স নিউজে এক সাক্ষাতকারে জুকারবার্গ তার প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থা টুইটারকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘আমি শুধু দৃঢ়ভাবে এটা বিশ্বাস করি যে ব্যবহারকারীরা অনলাইনে কিছু বললে তার সত্যতা যাচাই করবে না ফেসবুক।' তিনি আরও বলেন, ‘বেসরকারী সংস্থাগুলি সম্ভবত হওয়া উচিত নয়, বিশেষ করে এই মাধ্যমের সংস্থাগুলি যে জায়গায় রয়েছে তাদের এ ধরনের কাজ মানায় না।' যদিও জুকারবার্গের ফেসবুকেই আলাদা করে সত্যতা যাচাই করার দল রয়েছে, যারা প্রতিটি পোস্টের সত্য-মিথ্যা যাচাই করে। জুকারবার্গের মতে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সেন্সর করাটা সঠিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে না৷ যদিও জুকারবার্গের এই প্রতিক্রিয়া নেটিজেন খুব একটা ভালো নজরে দেখেনি।
ট্রাম্পের টুইট
বুধবার ট্রাম্প নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন ‘রিপাবলিকান সোশ্যাল মিডিয়া পুরোপুরি রক্ষণশীল মতবাদের৷ আমরা কড়াভাবে তাদের নিয়ন্ত্রণ করব নইলে বন্ধ করে দেব৷' এই মন্তব্যের পরই ফেসবুক-টুইটার তরজা শুরু হয়।
৪ দিনে ২৩জন বিমান যাত্রী করোনা পজেটিভ, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দেশের পরিস্থিতি