মাওবাদীদের ডাকা বনধের প্রভাব জঙ্গল মহলে, ১০ বছর আগের 'বনপার্টি' কী জেগে উঠছে?
মাওবাদীদের ডাকা বনধের প্রভাব জঙ্গল মহলে, ১০ বছর আগের 'বনপার্টি' কী জেগে উঠছে?
প্রায় ১০ বছর আগের পরিস্থিতির আঁচ মিলছে জঙ্গলমহলে। মাওবাদীদের ডাকা বনধের ভাল প্রভাব পড়েছে জঙ্গ মহলে। বেলপাহাড়ি, শিলদা, রানিবাঁধ, রাইপুর সহ জঙ্গলমহলের অধিকাংশ জায়গাতেই বন্ধ দোকান বাজার। রাস্তায় ঘাট প্রায় শুনাসান বললেই চলে। চলছে না কোনও গাড়ি ঘোড়া।
গতকালই জঙ্গলমহল জুড়ে বনধের সমর্থনে হুমকি পোস্টার পড়েছিল। তাতে লেখা হয়েছিল ৮ তারিখে বনধ পালন না করলে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। সাদা কাগজে লালকালিতে লিখে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন জায়গায়। বেলপাহাড়ি, শিলদা, রানিবাঁধ, রাইপুরের মত জায়গাগুলিতে হুমকি পোস্টার ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ১০ বছর আগে এই এলাকাগুলিকে মাওবাদী প্রভাবিত এলাকা বলে চিহ্নিত করা হত। কিষেণজির দাপটে এই সব এলাকায় কাঁটা হয়ে থাকতেন গ্রামবাসীরা।
মাওবাদীদের ডাকা বনধের ভালই প্রভাব পড়েেছ জঙ্গলমহলে। সকাল থেকেই দোকান বাজার বন্ধ রয়েছে। বেলপাহাড়ি, শিলদা, রাণিবাঁধ, রাইপুরে কেউ খুলছে না দোকান বাজার। সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে সব দোকান। রাস্তা ঘাটেও তেমন যান চলাচল করছে না। সরকারি বাস ২ একটা চললেও বেসরকারি বাট, অটো, রিকশা বা টোটোর দেখা মিলছে না। জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের ডাকা বনধ কার্যত সফল বলা চলে। আর তাতেই ১০ বছর আগের স্মৃতি ফের ফিরে আসছে। তাহলেকি ফের মাওবাদীরা জানান দিচ্ছেন তাঁদের অস্তিত্ব।
গত কয়েক সপ্তাহে এই বেশ কয়েকবার মাওবাদী পোস্টার দেখা গিয়েছে জঙ্গলমহসেক বিভিন্ন জায়গায়। বনধ ডাকার আগেই জঙ্গলমহলে ল্যান্ডমাইন উদ্ধার হয়েছে। তারপরেই সতর্ক পুলিশ। একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। বম্ব স্কোয়াড গিয়ে তল্লাশি চালিেয়ছে। ল্যান্ড মাইম উদ্ধার করেছে তারা। গতকাল মাওবাদীদের পোস্টার পড়ার পরেও বাড়তি সতর্ক পুলিশ। জঙ্গলমহলে কি ফের বনপার্টি আতঙ্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে। নতুন করে কি জেগে উঠছে মাওবাদীরা। কয়েকদিন আগে তপন কান্দু হাত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাইরের রাজ্য থেকে দুষ্কতী নিয়ে আসার অভিযোগ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছিেন বাইরের রাজ্য থেকে দুষ্কৃতিদের নিয়ে এসে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানো হচ্ছে। জঙ্গলমহলেও কি ফের ঝাড়খণ্ড থেকে মাওবাদীরা ঢুকতে শুরু করেছে। এই নিয়ে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।