সন্ত্রাসের আতঙ্ক নিউ ইয়র্কে! সাবওয়ের মধ্যে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি, উদ্ধার বিস্ফোরক
সন্ত্রাসের আতঙ্ক! ব্রুকলিন সাবওয়ে স্টেশনের মধ্যে এলোপাথাড়ি গুলি। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ১৩ জনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর সামনে আসছে। এমনকি মৃত্যুর খবর দাবি করা হলেও সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। শুধু তাই নয়, ঘটনাস্থলে প্রচুর ব
সন্ত্রাসের আতঙ্ক! ব্রুকলিন সাবওয়ে স্টেশনের মধ্যে এলোপাথাড়ি গুলি। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ১৩ জনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর সামনে আসছে। ঘটনায় অন্তত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর সামনে আসছে। শুধু তাই নয়, ঘটনাস্থলে প্রচুর বিস্ফোরকও উদ্ধার হয়েছে বলে জানাচ্ছে সে দেশের সংবাদমাধ্যম। সেগুলি ফাইলে কি ঘটত তা ভেবেই আতঙ্কিত তদন্তকারীরা।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ঘটনার খবর সামনে আসতেই গোটা এলাক ঘিরে ফেলা হয়েছে। স্টেশন এবং সাবওয়েগুলিতে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নিউ ইয়ার্ক জুড়ে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। আর কোনও স্টেশনে বিস্ফোরক লুকিয়ে রাখা আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
At least 13 people have been injured in a shooting incident at a subway station in the New York City borough of Brooklyn, where "several undetonated devices" were recovered, authorities said Tuesday: AFP News Agency
— ANI (@ANI) April 12, 2022
(Pics Source: Reuters) pic.twitter.com/zPIq4tNg7e
অন্তত পাঁচজন এই স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রায় পাঁচ ফুট পাঁচ ইঞ্চি লম্বা এক ব্যক্তি হঠাত করেই এই হামলা চালায়। এমনকি ওই ব্যক্তি গ্যাস মাস্ক মুখে পড়েছিল বলেও জানাচ্ছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এমনকি শরীরে কমলা রঙের একটি জামা ছিল বলেও খবর। তবে এ,ওপাথাড়ি গুলি চালানোর পরেই সেখান থেকে ওই ব্যক্তি পালিয়ে যায় বলে খবর। দুষ্কৃতীর খোঁজে বিভিন্ন জায়গাতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে সে দেশের পুলিশ প্রশাসনের তরফে জানানো হছে।
Five people were shot at a subway station in Brooklyn, New York, law enforcement sources said. According to multiple law enforcement sources, preliminary information indicated a suspect was wearing a construction vest and a gas mask: The Associated Press
— ANI (@ANI) April 12, 2022
আমেরিকার সময়ে সাড়ে ৮টা নাগাদ এই হামলার ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যে ঘটনায় আহতদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে চিকিৎসা। তবে প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, হামলার সময়ে গ্যাসের মতো কিছু একটা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন এক্ষেত্রে স্মোক গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছে।
আর এরপরেই দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে বলে মনে করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। আর এমন সময়ে এই ঘটনা ঘটে যখন স্টেশনে একটি ট্রেন ঢোকে। এমনকি প্রচুর ভিড় থাকার সময়কেই বেছে নেওয়া হয় হামলার জন্যে।
ফলে প্রাথমিক তদন্তে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন নাশকতার ঘটনা বলেই ইঙ্গিত করছে। এমনকি পরিকল্পনা করে বড়সড় হামলার চেষ্টা চালানো হয়েছিল বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এফবিআইয়ের আধিকারিকরা। তাঁরাও ঘটনা সরজমিনে পরীক্ষা করে দেখছেন। তবে ঘটনার পরেই বেশ কিছু মুহূর্তের ছবি সামনে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে রক্তাত্ব অবস্থায় পড়ে রয়েছে যাত্রীরা। কারোর পেটে গুলি লেগেছে কারোর আবার শরীরের অন্য অংশে। যা দেখে রীতিমত শিউরে উঠছে বিশ্ব।
এখনও ৯/১১ এর ঘটনা টাটকা বিশ্বের কাছে। মুহূর্তের মধ্যে টুইন টাওয়ার গুড়িয়ে দেওয়া হয়। আর সেই ঘটনার পর যদিও বড়সড় হামলা ঘটেনি সে দেশে। কিন্তু এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে।