নোঙর করা জাহাজের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষে বহু মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা
স্পিডবোটের সংঘর্ষে বহু মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা
সোমবার ভোরবেলা পদ্মা নদীতে এক স্পিডবোট দুর্ঘটনার পর অন্তত ১৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানাচ্ছে।
মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাট সংলগ্ন কাঁঠালবাড়ি ঘাট এলাকায় সকাল সাতটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানাচ্ছে তীর্ব্র গতিতে এগিয়ে চলা যাত্রীবোঝাই স্পিডবোটটি একটি নোঙর করা জাহাজের উপর আছড়ে পড়লে এই দুর্ঘটনা হয়।
নৌ-পুলিশের কাঁঠালবাড়ি ঘাট ইন-চার্জ আব্দুর রাজ্জাক বিবিসি বাংলাকে বলেন, ''মাওয়া থেকে একটি স্পিডবোট যাত্রীদের নিয়ে এই পাড়ে আসার সময় নোঙর করা বালু বোঝাই বাল্কহেডের (ছোট আকারের মালবাহী জাহাজ) সাথে সংঘর্ষ হয়েছে।''
''বাল্কহেডটি থামানো ছিল। স্পিডবোটটি গিয়েই সেটার সাথে ধাক্কা খেয়েছে।''
সকাল নয়টা পর্যন্ত তারা ১৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে স্পিডবোটে আসলে কতজন যাত্রী ছিল, তা তারা তখন পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারেননি। পুলিশ এখনো নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছে।
পদ্মা নদীতে মাওয়া-কাঁঠালবাড়ী পয়েন্টে এপার-ওপার করা স্পিডবোটগুলোতে আকারভেদে ১২ থেকে ২০ জন যাত্রী পারাপার করা হয়ে থাকে।
কিন্তু বড় একটি স্পিডবোটে ২৫ জন পর্যন্ত যাত্রীও উঠানো হয় কখনো কখনো।
ব্যয়বহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্বেও দ্রুত নদী পারাপারের উদ্দেশ্যে বহু মানুষ স্পিডবোট বেছে নেয়।
এখন পর্যন্ত যে পরিমান মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তাতে এটি বড় আকারের স্পিডবোট ছিল এবং ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রীতে পূর্ণ ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এখনো বেশ কিছু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম খবর দিচ্ছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে এখন যে লকডাউন চলছে, তার অংশ হিসেবে এই স্পিডবোট সার্ভিস বন্ধ থাকবার কথা।
নৌ পুলিশের আব্দুর রাজ্জাক বলছেন, ''এরা অবৈধভাবে চুরি করে যাত্রী পরিবহন করে। এটাও মাওয়া থেকে সেভাবে যাত্রী আনছিল বলে ধারণা করছি।''
বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর:
মমতা ব্যানার্জী : কীভাবে তার উত্থান, কী তার সাফল্যের চাবিকাঠি?
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের আভাস
ভিক্ষার জন্য অপহরণ: যেভাবে উদ্ধার হল দুই বছরের শিশু
ভারতীয় চলচ্চিত্রে যৌন দৃশ্যের নির্দেশনা দেন যিনি