স্ত্রীর দেহ কবর থেকে তুলে এনে স্বামী যা করেছেন তা এককথায় অবিশ্বাস্য
ভিয়েতনামের কোয়াং নাম প্রদেশের বাসিন্দা লে ভান নিজের প্রয়াত স্ত্রীকে কাছছাড়া করতে রাজি নন। আর তাই মৃত স্ত্রীর দেহ নিয়ে নিজের বাড়িতেই রেখে বছরের পর বছর ধরে দিনযাপন করে চলেছেন।
কলকাতার কঙ্কালকাণ্ড শহরবাসীর রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছিল। প্রয়াত পার্থ দে দিদি দেবযানীর মরদেহ নিয়ে ছয় মাস একই বাড়িতে কাটিয়েছিল। সেই ঘটনা নড়িয়ে দিয়েছিল গোটা সমাজকে। তবে খোঁজ নিলে জানা যাবে এমন ঘটনা সারা পৃথিবীতে খুব একটা বিরল নয়। মনোবিজ্ঞানীরা এমন ঘটনার বহু নিদর্শন নিয়ে দিনরাত গবেষণা করে চলেছেন। প্রিয়জনদের কাছ থেকে দূরে না করার ভাবনা থেকেই এই ঘটনা ঘটানো হয়। সবসময় মস্তিষ্ক বিকৃতিই যে এর কারণ এমনটা নয়।[আরও পড়ুন:ব্রিটেনের এই ব্যক্তিই জন্ম দিলেন এক কন্যা সন্তানের, পড়ুন এক আশ্চর্য কাহিনি]
এর সেকারণেই কলকাতা আর ভিয়েতনাম কোথাও গিয়ে মিলে এক হয়ে যায়। ভিয়েতনামের কোয়াং নাম প্রদেশের বাসিন্দা লে ভান নিজের প্রয়াত স্ত্রীকে কাছছাড়া করতে রাজি নন। আর তাই মৃত স্ত্রীর দেহ নিয়ে নিজের বাড়িতেই রেখে বছরের পর বছর ধরে দিনযাপন করে চলেছেন।[আরও পড়ুন:১৩৭ বছরে এই প্রথম মেয়ে জন্ম নিল পরিবারে, কোথায় ঘটল এমন ঘটনা]
কলকাতার পার্থ দে নিজের দিদির দেহ বাইরে নিয়ে যাননি। বাড়িতেই রেখেছিলেন, তবে লে ভান আরও ভয়ানক কাণ্ড করেছেন। যা বিশ্বাস করা কঠিন।[আরও পড়ুন:তিন বছরের মেয়েটি কাঁদলেই শরীর থেকে বের হচ্ছে রক্ত, তেলেঙ্গানার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য দেশজুড়ে]
জানা গিয়েছে, ২০০৩ সালে লে-র স্ত্রী মারা যান। স্ত্রীকে নিয়ে কবর দিয়ে আসেন তিনি। এরপরে দীর্ঘ ২০ মাস রোজ কবরে গিয়ে স্ত্রীর পাশে শুতেন লে। বৃষ্টির সময়ে অসুবিধা হতো। পারতেন না। তা দেখে কাছেই বাড়ি থেকে কবর পর্যন্ত টানেল কাটেন তিনি।
সেই টানেল বয়ে রোজ স্ত্রীর কাছে যেতেন। লে-র এই পাগলামি দেখে পড়শিরা একদিন জোর প্রতিবাদ করেন। ফলে টানেল দিয়ে স্ত্রীর কাছে যাওয়াও বন্ধ করতে হয় লে-কে। তবে স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা কিছুতেই কমেনি। নতুন উপায় বের করেন তিনি।
এবার একেবারে স্ত্রীর কঙ্কাল কবর থেকে তুলে বাড়িতে নিয়ে আসেন লে। কঙ্কালটিকে ভালো করে কাপড় দিয়ে ঢেকে, মানুষের মতো মুখ বানিয়ে খাটে শুইয়ে রাখেন। মায়ের কঙ্কালের সঙ্গে রোজ রাতে ঘুমোয় তাদের একমাত্র ছেলে। আর এক পাশে আরাম করে ঘুমোন লে ভান।
এতদিন ধরে এটাই চলে আসছে ভানের বাড়িতে। প্রতিবেশীরা প্রথমে ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকতেন। লে-র বাড়ির সামনে দিয়ে যেতেন না। তবে ধীরে ধীরে তাঁরাও সব বুঝতে পেরেছেন বলে দাবি লে-র। তাঁর মতে, স্ত্রীর দেহ নিথর হলেও আত্মা এখনও জীবিত রয়েছে, সে তাঁদের সঙ্গেই থাকে।