জার্মানিতে পুরুষ নার্সের বীভৎস 'উপায়', ১০০-র বেশি রোগীকে খুনের অভিযোগ
বিষ ওষুধ দিয়ে ১০০-রও বেশি রোগীকে খুনের অভিযোগে আপাতত জার্মানির জেলে পুরুষ নার্স নিয়েলস হোজেল। ২০০৮ সালের খুনের চেষ্টার অভিযোগে সাড়ে সাত বছরের জেল। আর ২০১৫ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
বিষ ওষুধ দিয়ে ১০০-রও বেশি রোগীকে খুনের অভিযোগে আপাতত জার্মানির জেলে পুরুষ নার্স নিয়েলস হোজেল। ২০০৮ সালের খুনের চেষ্টার অভিযোগে সাড়ে সাত বছরের জেল। আর ২০১৫ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। । এরপরেও তদন্তে লাফিয়ে বাড়তে থাকে মৃতদের সংখ্যা। এখনও তদন্ত জারি রয়েছে।
অগাস্ট মাসেই তদন্তকারীরা জানিয়েচিলেন, হোজেলের ক্রিয়াকলাপে মৃতের সংখ্যা ৯০। সম্প্রতি আরও ১৬ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে পুলিশ। সব মিলিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১০৬-এর বেশি। ১৯৯৯ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে জার্মানির ডেলমেনহর্স্ট হাসপাতাল-সহ দুটি হাসপাতালে কাজ করেছে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, রোগীদের খুনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ দায়ের করা হবে।
হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের হৃদযন্ত্র বিকল করতে পারে এমন ওষুধ প্রয়োগ করত হোজেল। রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকলে সে চেষ্টা করল বাঁচাতে। সফল হলে কৃতিত্ব নিত। আর যদি সেই রোগী মারা যেত, তাহলে কান্নায় ভেঙে পড়ত।
২০০৫-এর জুনে বিষয়টি এক নার্স দেখতে পেয়ে যান। তিনি হোজেলকে ইনজেকশন দেওয়ার সময় ধরে ফেলেন। বেঁচে যায় সেই রোগী। এর পরেই হোজেলকে গ্রেফতার করা হয়। ২০০৮ সালে খুনের চেষ্টার অভিযোগে, সাড়ে সাত বছরের জেলের সাজা হয় তার। টিভিতে এই খবর দেখার পর পুলিশের কাছে যান এক মহিলা। তাঁর মাকেও একইভাবে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এরপর কবল থেকে তুলে বৃদ্ধের দেহের রাসায়নিক পরীক্ষা করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এর পরেই একের পর এক ঘটনা সামনে আসতে থাকে। ২০১৫ সালে হোজেলকে যাবজ্জীবনের সাজা দেওয়া হয়।