ক্ষমা চেয়েও মিলল না রেহাই, মালয়েশিয়াতেও নিষিদ্ধ হলেন জাকির নায়েক
আগেই দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন তিনি। ইসলামিক উগ্রপন্থায় উষ্কানিমূলক বক্তব্যের জন্য জারিক নায়েকের টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার নিষিদ্ধ করেছিল ভারত সরকার।
আগেই দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন তিনি। ইসলামিক উগ্রপন্থায় উষ্কানিমূলক বক্তব্যের জন্য জারিক নায়েকের টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার নিষিদ্ধ করেছিল ভারত সরকার। জঙ্গি কার্যকলাপে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। প্রথমে দুবাইয়ে তারপর মালয়েশিয়ায় গিয়ে ঘাঁটি গাড়েন জাকির নায়ক। তাঁকে প্রত্যর্পণের জন্য একাধিকবার মালয়েশিয়া সরকারের কাছে আবেদনও জানিয়েছিল ভারত সরকার। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি মালয়েশিয়া।
এখন তার ফল ভোগ করছে তারা। সেখানেও জাকিরের একের পর এক উষ্কানিমূলক এবং বিতর্কিত বক্তব্য জাতি হিংসার পথ প্রশস্ত করছিল। সেটা বুঝতে পেরেই মােলশিয়া সরকার তাকে সতর্ক করে। তারপরেও থামেনি জাকিরের এই বিতর্কিত বক্তব্য। চাপে পড়ে মালয়েশিয়া সরকারের নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু তাতে বরফ গলেনি। মালয়েশিয়াতেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাঁকে। আর কোনও রকম অনুষ্ঠান এবং বক্তব্য তিনি প্রকাশ্যে রাখতে পারবেন না সেখােন। মালয়েশিয়ার পুলিস জনসমক্ষে কোনও রকম বক্তব্য রাখার ক্ষেত্রে জাকির নায়েকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী চিনাদের দেশে ফেরানোর দাবিতে সরব হয়েছিলেন জাকির নায়েক। সেখানেও জাতি ভেদের উষ্কানি দেওয়া শুরু করেছিলেন। মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী হিন্দুদের তিনি ভারতে বসবাসকারী মুসলিমদের সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেন। এরকম একাধিক বিতর্কিত মন্তব্যে শোনার পরেই নড়েচড়ে বসে মালয়েশিয়া সরকার। জাতি সংঘর্ষের প্রমাদ গুণতে শুরু করেছিলেন তাঁরা।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আগে থেকেই ব্যবস্থা নেয় মালয়েশিয়া সরকার। এবং মালয়েশিয়ার রয়্যাল পুলিস তাঁর সবরকম সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর পরেও কোনও উষ্কানি মূলক মন্তব্য জাকির নায়েক করলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মালয়েশিয়া পুলিস।