হুমকির মুখে মার্কিন গণতন্ত্র, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য কতটা প্রস্তুত আমেরিকা?
প্রায় ১০ কোটি মার্কিন ভোটার আগাম ভোট বা ডাক যোগে নিজেদের মত প্রকাশ করেছেন মার্কিন নির্বাচনের জন্য। মনে করা হচ্ছে মার্কিন মুলুকে এবছর ভোট দানের সর্বকালীন রেকর্ড ভাঙবে। তবে এর মাঝেও এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এক অবাক করা তথ্য। এনবিসির সমীক্ষায় জানা গিয়েছে বর্তমান পরিস্থিতে ৪০ শতাংশ মার্কিন ভোটার এই নির্বাচনের স্বচ্ছতার উপর ভরসা করছে না।
হোয়াইট হাউজের দৌড়ের নিয়মাবলী কী? একনজরে মার্কিন নির্বাচনের খুঁটিনাটি
মার্কিন মুলুকে ভোটগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে
এই পরিস্থিতিতে মার্কিন মুলুকে ভোটগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তার উপর মার্কিন নির্বাচনে চিন, ইরান, রাশিয়ার হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গ উঠেছে। ডাক যোগে ব্যালট নিয়ে আপত্তি জানিয়ে সরব হয়েছেন ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতে এই নির্বাচন মার্কিন মুলুকের কাছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করার লড়াই।
হিংসা রুখতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার
এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন-সংক্রান্ত হিংস্রতা রুখতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে সুরক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসি-তে, বিভিন্ন দোকানের সামনের জানালাগুলি পাতলা পাতলা কাঠ দিয়ে বা অন্যান্য জিনিস দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি দোকান তো প্রায় পুরোপুরি ভাবে ব্লক করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউজ সংলগ্ন রাস্তাগুলিতে পুলিশের প্ল্যাকার্ড
ওয়াশিংটন ডিসি পুলিশ পর্যাপ্ত পুলিশ রাখার বিষয় নিশ্চিত করার জন্য সবার জন্য ছুটি বাতিল করে দিয়েছে। হোয়াইট হাউজ সংলগ্ন রাস্তাগুলির আলোর হালকা খুঁটির উপর পুলিশ পরামর্শমূলক বার্তা টাঙিয়ে রেখেছে। এবং নির্বাচনের পাঁচ দিন পর পর্যন্ত আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে ওয়াশিংটন ডিসিতে।
গোয়েন্দা বিভাগের তরফে কোনও সতর্কবার্তা নেই
যদিও ওয়াশিংটন ডিসির পরিকল্পনা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ডেপুটি মেয়র জন ফ্যালসিচিও এক বিবৃতিতে বলেন, 'নিরাপত্তার কারণে আমরা দোকানগুলিকে এভাবে ঢাকবার কথা বলিনি। আমাদের গোয়েন্দা বিভাগ থেকেও এধরণের কোনও সতর্ক থাকার কথা বলা হয়নি। এবং আমরাও এরকম কোনও পরিকল্পনা করিনি।' তিনি আরও বলেন, 'তবে কোনও ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা ঘটলেই সঙ্গে সঙ্গেই তা রিপোর্ট করার জন্য সবাইকে বলা হয়েছে।'
হোয়াইট হাউজকে ঘিরে নিরাপত্তার বলয়
হোয়াইট হাউজকে ঘিরে নিরাপত্তার বলয় তৈরি করা হয়েছে। শনিবার রাতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে বিক্ষোভকারীরা সেখানে জড়ো হয়েছিল। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয় বিক্ষোভকারীরা। লস অ্যাঞ্জেলেস, নিউ ইয়র্ক এবং শিকাগোতেও তাদের সম্পত্তি রক্ষায় বিক্ষোভকারীরা একইভাবে সক্রিয় হয়েছে।
কী বলছেন শিকাগোর 'ট্রাম্প বিরোধী' মেয়র?
শিকাগোর মেয়র লরি লাইটফুট বাসিন্দাদের নিরাপদ উপায়ে তাদের রাজনৈতিক মতামত প্রকাশ করতে বলেন। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, 'আমি মানুষকে যা করতে উৎসাহিত করছি তা হল নিজের মতামতকে প্রকাশ করা। তবে এটি এমনভাবে করুন যাতে আমাদের ঐতিহ্যের সম্মান রক্ষা হয়।' তিনি আরও বলেন, 'আমাদের হতাশা, রাগ কখনই অন্য কারও উপর চাপিয়ে দেওয়ার অধিকার আমাদের নেই।'
তৈরি রয়েছে নিউ ইয়র্কও
অবশ্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানান, মঙ্গলবার নির্বাচনের দিন বা তার পরে কোনও সহিংসতার বিশ্বাসযোগ্য হুমকি নেই। তবে তাঁরা এই বিষয়ে সজাগ থাকার বিষয়ে বেশি জোর দিতে আগ্রহী। তবে গত সপ্তাহে নির্বাচনের সুরক্ষা পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরির সময় নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের প্রধান টেরেন্স মোহনাহান বলেন, 'এ বিষয়টি গোপনীয় নয় যে এই নির্বাচন অতীতের সব নির্বাচনের চেয়ে বেশি বিতর্কিত। তবে আমরা প্রস্তুত।'