ভয়াবহ ভূমিকম্পের কবলে চিনের সিচুয়ান প্রদেশ! ২০১৩-র পর থেকে সব থেকে বড় কম্পনে এখনও পর্যন্ত মৃত ৭
ভয়াবহ ভূমিকম্পের (earthquake) কবলে দক্ষিণ-পশ্চিম চিনের (China) সিচুয়ান (Sichuan)( প্রদেশ। চিনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টারের তরফে জানানো হয়েছে, দুপুরে পরে সিচুয়ান প্রদেশের লুডিং কাউন্টির পাহাড়ি এলাকায় ৬.৮ মাত্রার ভূম
ভয়াবহ ভূমিকম্পের (earthquake) কবলে দক্ষিণ-পশ্চিম চিনের (China) সিচুয়ান (Sichuan)( প্রদেশ। চিনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টারের তরফে জানানো হয়েছে, দুপুরে পরে সিচুয়ান প্রদেশের লুডিং কাউন্টির পাহাড়ি এলাকায় ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। মুহূর্তে কেঁপে ওঠেন সেখানকার বাসিন্দারা। যার জেরে সেখানে ভূমিধস হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল
এদিন
স্থানীয়
সময়
দুপুর
১২.৫২-তে
ভূমিকম্পটি
অনুভূত
হয়
সিচুয়ানের
রাজধানী
চেংদু
থেকে
প্রায়
২০০
কিমি
দূরে।
সেখানে
এখন
করোনা
ছড়িয়ে
পড়ার
কারণে
সাধারণ
মানুষের
বাইরে
বেরনোয়
নিষেধাজ্ঞা
রয়েছে।
স্থানীয়
এক
বাসিন্দাকে
উদ্ধৃত
করে
সংবাদ
সংস্থা
জানিয়েছে,
তিনি
তাঁর
৩১
তলার
অ্যাপার্টমেন্টে
পাঁচ
মিনিটের
জন্য
একটি
ডেস্কের
নিচে
লুকিয়ে
ছিলেন।
সেই
সময়
অনেক
প্রতিবেশী
অ্যাপার্টমেন্টের
নিচে
চলে
যেতে
সক্ষম
হয়েছিলেন।
ইউএস
জিওলজিক্যাল
সার্ভের
দেওয়া
তথ্য
অনুযায়ী,
ভূপৃষ্ঠ
থেকে
১০
কিমি
গভীরতায়
৬.৬
মাত্রার
ভূমিকম্প
রেকর্ড
করা
হয়েছে।
সিচুয়ানে বারে বারে ভূমিকম্প
চিনের
তিব্বতের
মালভূমির
প্রান্তে
যেখানে
ভূপৃষ্ঠের
নিচে
টেকটোনিক
প্লেট
মিলিত
হয়েছে,
তার
ওপরেই
সিচুয়ান
প্রদেশ।
যে
কারণে
সেখানে
বারে
বারে
ভূমিকম্প
হয়।
গত
জুনে
সেখানে
হওয়া
ভূমিকম্পে
অন্তত
চারজনের
মৃত্যু
হয়।
জুন
মাসের
ভূমিকম্প
প্রসঙ্গে
সেই
প্রত্যক্ষদর্শী
জানিয়েছেন,
সেই
ভূমিকম্প
খুব
একটা
ভয়ঙ্কর
ছিল
না।
তবে
এবার
তিনি
ভয়
পেয়েছিলেন।
ওপরে
থাকার
এবং
ভূমিকম্পের
কারণে
তাঁর
মাথা
ঘোরাতে
থাকে
বলেও
জানিয়েছেন
তিনি।
সিচুয়ান
প্রদেশে
এই
সময়
লকডাউন
ছাড়াও
খরার
কারণে
জলের
ঘাটতি
রয়েছে।
অবরুদ্ধ সড়ক
চিনের
সরকার
নিয়ন্ত্রিত
টেলিভিশনের
তরফে
জানানো
হয়েছে,
এদিনের
ভূমিকম্পে
এখনও
পর্যন্ত
সাতজনের
মৃত্যু
হয়েছে।
সিচুয়ান
প্রদেশের
ভূমিধস
ও
বাড়িঘরের
ক্ষতি
হয়েছে।
বিদ্যুৎ
সরবরাহ
বিঘ্নিত
হয়েছে।
ভূমিধসের
কারণে
পাথর
ছড়িয়ে
পড়ে
গ্রামীণ
মহাসড়ক
আটকে
পড়েছে।
এবারের
ভূমিকম্পকে
২০১৩
সালের
পরে
সবচেয়ে
শক্তিশালীও
বলা
হচ্ছে।
প্রাদেশিক
রাজধানী
চেংদু
ছাড়াও
জিয়ান
ও
চাংশা
থেকে
কম্পন
অনুভূত
হয়েছে।
এদিন
এই
বড়
ভূমিকম্পের
কয়েক
মিনিটের
মধ্যেই
৪.২
মাত্রার
একটি
আফটার
শক
আঘাত
হানে।
এর
অবস্থান
ছিল
চেরদু
থেকে
প্রায়
১০০
কিমি
দক্ষিণ-পশ্চিমে।
২০১৩-র
মে
মাসে
৭
মাত্রার
ভূমিকম্প
সিচুয়ানের
ইয়ানকে
আঘাত
করেছিল।
সেই
সময়
১০০
জনের
বেশি
মানুষের
মৃত্যু
হয়েছিল।
আহতের
সংখ্যা
ছিল
কয়েক
হাজার।
২০০৮ সালে ৯০ হাজার মানুষের মৃত্যু
সাম্প্রতিক বছরগুলোকে সিচুয়ানে মারাত্মক ভূমিকম্প হয়েছে। ২০০৮ সালে সেখানে ২.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে ৯০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়াও সেই ভূমিকম্পে প্রাদেশিক রাজধানীর বাইরের স্কুল এবং গ্রামীণ জনজীবনকে ধ্বংস করে দিয়েছিল।