দেশে ক্রমেই বাড়ছে বৃদ্ধের সংখ্যা, চিনে তিন দশকে বিয়ের হার সর্বনিম্ন
দেশে ক্রমেই বাড়ছে বৃদ্ধের সংখ্যা, চিনে তিন দশকে বিয়ের হার সর্বনিম্ন
চিনে দ্রুত গতিতে জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। বেজিং প্রশাসন দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই পরিস্থিতির মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে নতুন একটি তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে চিনে মাত্র ৭.৪৬ বিয়ে নথিভুক্ত হয়েছে। বেজিংয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত তিন দশকে এই সংখ্যা সর্বনিম্ন।
আট বছর ধরে কমছে বিয়ের হার
চিনে বিয়ের সঙ্গে জন্মের হার ঘনিষ্ঠভাবে যু্ক্ত। ক্রমাগত চিনে বিয়ের সংখ্যা কমছে। ১৯৮৬ সালের পর চিনে ২০২১ সালে বিয়ের সংখ্যা সব থেকে কম। এই পরিসংখ্যান চিনা সরকারের জন্মহার বৃদ্ধির একাধিক নীতির ওপর প্রভাব ফেলবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত কয়েক বছর ধরে বিয়ের হার ক্রমাগত কমছে। বেজিং সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রথমবার ২০০৩ সালে চিনে বিয়ের সংখ্যা আট মিলিয়নের নীচে নামে। গত আট বছর ধরে ক্রমাগত বিয়ের হার ক্রমাগত কমতে শুরু করেছে। যা চিনের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২০ সালে চিনে বিয়ের হার ৬.১ শতাংশ কমে গিয়েছিল বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
বাড়ছে বিয়ের গড় বয়স
চিনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে যে দম্পতিরা বিয়ে নথিভুক্ত করেছেন, তাঁদের অর্ধেক ৩০ বছরের বা তার বেশি বয়সী। প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে নথিভুক্ত বিয়ের ১৯.৫ শতাংশ দম্পতির বয়স ৪০ বা তার বেশি। চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের জনসংখ্যা নজরদারি ও পরিবার উন্নয়ন বিভাগের তরফে ইয়াং জিনরুই এই বিষয়ে চলতি বছরের শুরুতেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি জানুয়ারি মাসে বলেন, চিনের নাগরিকদের বেশিরভাগ ৩০ বছরের পরে বিয়ে করছেন। কারণ পরিবার গড় আয় বাড়ানোর জন্য ও জীবন যাত্রার মানের উন্নতির জন্য চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি তিনি মন্তব্য করেন, উপযুক্ত চাকরির পরেই তাঁরা বিয়ের বিষয়ে ভাবতে চাইছেন।
কর্মক্ষেত্রে সফল হওয়ার চাহিদা
ইয়াং জিনরুই বলেন, মূলত যাঁরা ১৯৯০ সাল থেকে ২০০০ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছেন, তাঁদের অনেকেই উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন। কর্মক্ষেত্রে নিজেদের সফল করতে তাঁরা অনেক বেশি আগ্রহী। অনেক ক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্রে ব্যাপক চাপের কারণে তাঁরা বিয়েটা পিছিয়ে দিতে চাইছেন। অনেকেই আবার বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যার জেরেই চিনে বিয়ের গড় বয়স এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
চিনের বাড়ছে প্রৌঢ় ও বৃদ্ধ নাগরিকদের সংখ্যা
চিনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত বছরের শেষ নাগাদ দেশের স্থায়ী বাসিন্দাদের মধ্যে ৬০ বা তার বেশি বয়সের নাগরিকদের ৪.৪ মিলিয়নের বেশি। যা চিনের মোট জনসংখ্যার পাঁচ ভাগের একভাগ। যা চিনের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে। চিনের অন্য একটি সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত পাঁচ বছরে ৬৫ বা তার বেশি বয়সের নাগরিকদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১ সালে তা সর্বোচ্চ হয়ে গিয়েছে।
ব্রিটেনে মাঙ্কি পক্সের নতুন প্রজাতির সন্ধান, হাসপাতালে ভর্তি আক্রান্ত