প্রেমিকাকে বিক্রি করে দিতে চান প্রেমিক! অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিতেই সোশ্যাল-ঝড়
অনলাইন শপিংয়ের দৌলতে এখন সবকিছু ঘরে বসে পাওয়া যাচ্ছে। তাই অনলাইনের মার্কেট এখন তুঙ্গে। তা বলে শেষে কি না প্রেমিকাকে বিক্রির বিজ্ঞাপন!
অনলাইন শপিংয়ের দৌলতে এখন সবকিছু ঘরে বসে পাওয়া যাচ্ছে। তাই অনলাইনের মার্কেট এখন তুঙ্গে। তা বলে শেষে কি না প্রেমিকাকে বিক্রির বিজ্ঞাপন! অনলাইনের যুগে এমনটাও সম্ভব! অনলাইন ওয়েবসাইটের দৌলতে ই-কমার্স দুনিয়ায় এক নিমেষেই অনেক ক্রেতার নজর কেড়ে নিয়েছে এই বিজ্ঞাপন। কিন্তু প্রেমিকের ইচ্ছাটাই বা কী ছিল! নেহাতই মজা, নাকি অন্য কিছু। তা-ই এখন প্রশ্নে।
বিজ্ঞাপনের চমকে খ্যাতির শিখরে
নেহাতই মজা, নাকি অন্য কিছু- তা প্রকাশ্যে এসেছে অতঃপর। তার আগে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছেন প্রেমিক-প্রেমিকা দুজনেই। ইংল্যান্ডের ডেল লিকস আর তাঁর প্রেমিকা কেলি গ্রিভস খ্যাতির শিখরে পৌঁছে গিয়েছেন শুধু বিজ্ঞাপনের চমকে। আর খ্যাতির কারণ বিজ্ঞাপনের বিষয়বস্তু।
প্রেমিকা বিক্রির বিজ্ঞাপনে ঝড় ই-কমার্স দুনিয়ায়
যে প্রেমিকাকে নিয়ে এক হানাহানি, এত কাটাকাটি, ত্রিকোণ প্রেম, খুন-খারাপি লেগেই থাকে, তাঁকেই কি না বিক্রি করে দেওয়ার জন্য বিজ্ঞাপন। অনলাইনে প্রেমিকাকে বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন প্রেমিক ডেল। ই-বে নামক ই-কমার্স সংস্থায় এই বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করে ছিলেন প্রেমিকা সম্বন্ধে বেশ কিছু তথ্যও। তারপর সোশাল মিডিয়ায় ঝড়। সাইক্লোন বললেও অত্যুক্তি হয় না।
প্রেমিকার দাম ৭০ হাজার পাউন্ড
প্রেমিকা বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাই ৮১ হাজার মানুষ তা দেখেছেন। আর কেলির দাম উঠেছে লাফিয়ে লাফিয়ে। ৭০ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত দাম ওঠে তাঁর। এখানেই শেষ নয়, কেলিকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার জন্য প্রেমিতক ডেলের কাছে ম্যাসেজও আসে অজস্র। আর ট্রোলডও হন তিনি।
নিছকই মজা প্রেমিক ডেলের
ডেল আর কেলি ইংল্যান্ডের এসেক্সের বাসিন্দা। ডেল এই বিজ্ঞাপন দেওয়ার অদ্যাবধি পরেই জানান, নিছক মজা করতেই তিনি এই কাজ করেছেন। আর কেলি প্রথমে একটু হকচকিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর প্রেমিকের অভিসন্ধি জানতে পেরে বিশেষ গুরুত্ব দেননি আর। তবে পিছু হটার পাত্র নন নেটিজেনরা। তাঁরা এটাকে গুরুতর অপরাধ বলেই মনে করছেন।
ই-বে’র বার্তা বিজ্ঞাপনদাতাকে
ই-বে বুঝতে পেরেই এই বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে দেয়। ২৪ ঘণ্টা পর আর দেখা যায়নি বিজ্ঞাপনটি। সেইসঙ্গে বিজ্ঞাপন দাতাকে কড়া বার্তাও দেয় ই-বে। অনলাইন ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, মানব বা মানব শরীরের কোনও অংশ বা দেহাবশেষ বিক্রির অনুমতি দেয় না। পরবর্তী সময়ে যেন যে কেউ এ ব্যাপারে ওয়াকিবহাল থাকে।