এ কেমন সিংহ, পর্যটকদের কোলে মুখ ঘুষছে, চেটে দিচ্ছে! ভাইরাল ভিডিও-তে বুঁদ সোশ্যাল মিডিয়া
পর্যটক ভর্তি সাফারি কারটা এগিয়েই চলছিল। সামনে একটা বিশাল সিংহ বসে রয়েছে। গাড়ি থামান চালক। ব্যাস, গাড়ি দেখে বিশ্রাম নেওয়া সিংহটা তখন গুটি গুটি পায়ে এসে হাজির চালকের কাছে।
পর্যটক ভর্তি সাফারি কারটা এগিয়েই চলছিল। সামনে একটা বিশাল সিংহ বসে রয়েছে। গাড়ি থামান চালক। ব্যাস, গাড়ি দেখে বিশ্রাম নেওয়া সিংহটা তখন গুটি গুটি পায়ে এসে হাজির চালকের কাছে। কোনও সুযোগ দেওয়ার বিষয়ই নেই। ঝাঁপিয়ে মুখ শরীরের অর্ধেক অংশ সোজা চাপিয়ে দিলেন চালকের উপরে। কাঁধে, মুখে সমানে মুখ ঘষে চলে সিংহবাবাজি। এমনকাণ্ড দেখে পিলে তখন খাঁচা হওয়ার অবস্থা গাড়িতে থাকা পর্যটকদের।
সিংহের এভাবে চালকের গায়ের উপরে উঠে পড়াটা ছিল ট্রেলার মাত্র। কিছুক্ষণের মধ্য়েই চালকের আসনটা পুরোপুরি দখল করে বসে পড়ে সিংহটি। পশুরাজের এমন দাপাদাপাতি ততক্ষণে সামনে আসনে বসে থাকা এক মহিলা পর্যটক গাড়ি থেকে নেমে পড়েছেন। কিন্তু সিংহবাবাজির হাত থেকে নিস্তার নেই চালকের। আদরে আদরে গাড়ির চালককে সে ভরিয়ে দিতে চাইছে। বিনিময়ে সেই চালকও সমানে সিংহটিকে আদর করছে। তবে, গাড়ির মধ্যে এত বিশাল একটা সিংহের ওঠে পড়া এবং দাপাদাপি-তে তখন সাফারি কারটি দুলছে। চালকও বাধ্য হয়ে গাড়ি থেকে নেমে আসেন।
কিছুক্ষণ পরে সিংহটিও নেমে আসে। এবার তার চোখ পড়ে পিছনে সিটে বসে থাকা পর্যটকদের উপরে। কথা নেই বার্তা নেই সটানে এবার পিছনের সিটে সিংহ বাবাজি। পর্যটকদের কোলে উপরে তখন আস্ত ৭ ফুট লম্বা সিংহ। পর্যটকদের কেউ আতঙ্কে, কেউ আবার বিষ্ময় কাটিয়ে বন্য জন্তুকে সমানে আদর করে চলেছেন। কেউ আবার মোবাইলে সিংহের এইি কার্যকলাপের ভিডিও করে যাচ্ছিলেন। আদরের সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকদের গাল-মুখ সমানে চেটে দিতে থাকে সিংহটি। আদরে আদরে সকলকে ভরিয়ে দিতে চায়। প্রায় মিনিট দশেক ধরে এই আদর পর্ব চলার পর সিংহটি গাড়ি থেকে নেম আসে। এরপর পর্যটকরা সিংহটিকে টা-টা জানিয়ে গাড়ি নিয়ে সামনে এগিয়ে যান।
এই গোটা ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ক্রিমিয়ার ভিলনোহার্স্ক-এর তাইগান লায়ন সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ। এরপরই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে ওঠে। সাফারি কারটি চালাচ্ছিলেন পার্কের মালিক ওলেগ জুবকোভ। তিনি নিজে একজন লায়ন লাভার বলে পরিচিত।
যদিও, এই ঘটনায় কেউ কেউ সমালোচনাও করেছেন। কারণ, আট সপ্তাহ আগে পার্কের এই স্থানেই এক মহিলা পর্যটকের হাতে কাঁমড় বিটিয়া নামে একটি সিংহ। যে সিংহটি পর্যটকদের গাড়িতে উঠে পড়েছিল তার নাম ফিলিয়া।
ক্রিমিয়ার তাইগান সাফারি পার্ক মূলত অসামান্য লায়ন সাফারির জন্য বিখ্যাত।