For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের জীবনী, বিজ্ঞান ছাপিয়ে আমৃত্যু রোগের সঙ্গে লড়াইয়ের এক অনন্য কাহিনি

পাঁচ দশকের বেশি পক্ষাঘাতগ্রস্ত থাকার পরে ৭৬ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন স্টিফেন হকিং। তাঁর জীবন ও কাজ নিয়ে সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক।

  • |
Google Oneindia Bengali News

কৃষ্ণগহ্বর, মহাজাগতিক নানা তত্ত্ব, বহির্বিশ্বের প্রাণ সহ নানা ক্ষেত্রকে নিজের বিজ্ঞান বোধ দিয়ে আলোকিত করেছেন পদার্থবিদ্যায় এযুগের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। জীবনে তিন চতুর্থাংশ সময় তিনি অসুস্থ হয়ে কাটিয়েছেন। তা সত্ত্বেও তাঁর বিজ্ঞান চেতনা সারা বিশ্বকে আলোকিত করেছে। নির্বাক হকিং পদার্থবিদ্যার নানা জটিল বিষয় সকলভাবে সাধারণ মানুষকে বলার চেষ্টা করেছেন। পাঁচ দশকের বেশি পক্ষাঘাতগ্রস্ত থাকার পরে ৭৬ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন স্টিফেন হকিং। তাঁর জীবন ও কাজ নিয়ে সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক।

বিশ্বযুদ্ধের মধ্যে জন্ম

বিশ্বযুদ্ধের মধ্যে জন্ম

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মধ্যেই ১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি অক্সফোর্ডে জন্ম স্টিফেন হকিংয়ের। হকিংয়ের পিতা ফ্রাঙ্ক হকিং-ও গবেষক ছিলেন। মা ইসাবেল হকিং রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। উত্তর লন্ডনের বাসিন্দা হলেও সেইসময়ে সন্তানের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাঁরা অক্সফোর্ডে চলে যান। হকিংয়ের জন্মের পর ফের লন্ডনে ফেরত আসেন।

ছোটবেলা

ছোটবেলা

প্রথম জীবনে হকিং সেন্ট অ্যালবার স্কুলে পড়েন। ছোট থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি হকিংয়ের দারুণ আগ্রহ ছিল। ফ্রাঙ্ক হকিং চেয়েছিলেন ছেলে ডাক্তার হোক। তবে বাবার কথা না শুনে গণিত পড়তে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চান হকিং। তবে আলাদা করে গণিতের কোর্স সেসময়ে না থাকায় তিনি পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন।

অসুখে আক্রান্ত

অসুখে আক্রান্ত

বয়স কুড়ি হবার পরই পিএইচডি করার সময় হকিং নিজের অসুখের কথা জানতে পারেন। কেমব্রিজে সেইসময় পড়ছিলেন তিনি। মাঝেমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়তেন সেইসময়ে। বহু পরীক্ষার পর জানা গেল তিনি মোটর নিউরন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। স্নায়ুর এই রোগ হকিংয়ে ধীরে ধীরে অবশ করে চলেছে। সেইসময়ে বলা হয়েছিল, এই রোগ হলে রোগী খুব বেশি হলে ২-৩ বছর বা সর্বাধিক পাঁচ বছর বাঁচে। অথচ সেই ধাক্কা সামলে তার পরের পাঁচ দশক হকিং লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন।

মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা

মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা

১৯৮৫ সালে ফের একবার মৃত্যুর মুখ থেকে হকিং ফিরে আসেন। তখন অন্য রোগ হকিংয়ের জীবন কাড়তে চলেছিল। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন তিনি। একসময়ে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কোমায় চলে গিয়েছিলেন হকিং। সেখান থেকে ফের লড়াই করে ফিরে আসেন তিনি।

বিয়ে ও বিচ্ছেদ

বিয়ে ও বিচ্ছেদ

১৯৬৫ সালে জেন ওয়াইল্ডের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন হকিং। ততদিনে রোগে আক্রান্ত হকিং লাঠি হাতে নিয়ে ফেলেছেন। চিকিৎসকেরা দাবি করেন পাত্রের আয়ু আর বড়জোর দুই বছর। তারপরও জেন হকিংকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। সেই ভালোবাসাই তাঁকে জীবনে ঘুরে দাঁড়াতে ও বেঁচে থাকতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল বলে জানিয়েছেন হকিং। যদিও ১৯৯৫ সালে জেনের সঙ্গে বিচ্ছেদ করে ম্যাসন নামে এক নার্সকে বিয়ে করেন হকিং। তবে ২০০৬ সালে ম্যাসনের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় ও ফের জেন ও পরিবারের সঙ্গে হকিংয়ের ঘনিষ্টতা বেড়ে ওঠে।

হকিংয়ের গবেষণা

হকিংয়ের গবেষণা

পদার্থবিজ্ঞানী হকিং প্রথম ব্ল্যাক হোল-এর অনিশ্চয়তার তত্ত্বে আলোকপাত করেন। প্রমাণ করেন ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর থেকে বিকিরিত হচ্ছে কণা প্রবাহ। এই বিকিরণের নাম পরে হকিংয়ের নামে রাখা হয়। কসমোলজি ও কোয়ান্টাম মধ্যাকর্ষ হকিংয়ের প্রধান গবেষণার ক্ষেত্র ছিল। আপেক্ষিকতার তত্ত্ব থেকে নতুন মডেল তৈরি করেন হকিং। সেই মডেলকে সামনে রেখে নিজের বক্তব্য প্রমাণ করেন তিনি।

হকিংয়ের সাফল্য

হকিংয়ের সাফল্য

হকিংয়ের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হল পদার্থবিদ্যাকে সরলভাবে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা। আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা এবং বোর-হাইজেনবার্গের কোয়ান্টাম তত্ত্বকে মিলিয়ে দেওয়াও হকিংয়ের বড় সাফল্য। মহাবিশ্বের কোনও স্থানই শূন্য নয়। সবসময় কণা-প্রতিকার সৃষ্টি হচ্ছে। আবার তারা পরমুহূর্তে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নিজের তত্ত্বের মাধ্যমে প্রমাণ করেছিলেন হকিং।

English summary
Know about Physicist Stephen Hawking's life story in detail
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X