প্রবল প্রতিরোধের মুখে তালিবানরা, তিন জেলা দখল বিরোধীদের
তালিবানরা (taliban) আফগানিস্তানের (afghanistan) নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দায়গায় প্রতিরোধ শুরু হয়েছে। শুক্রবার এই প্রতিরোধ বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে। কাবুলেও শুরু হয়েছে তালিবান বিরোধী বিক্ষোভ। এমনও খবর
তালিবানরা (taliban) আফগানিস্তানের (afghanistan) নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দায়গায় প্রতিরোধ শুরু হয়েছে। শুক্রবার এই প্রতিরোধ বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে। কাবুলেও শুরু হয়েছে তালিবান বিরোধী বিক্ষোভ। এমনও খবর পাওয়া গিয়েছে, বিরোধী যোদ্ধারা বেশ কিছু তালিবানকে হত্যা করে তিনটি জেলার দখল নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, কঠিন পরিস্থিতিতর মধ্যেও সেখান থেকে প্রায় ১৩ হাজার মানুষকে বিমানে করে সরানো হয়েছে।
আফগানিস্তানে তালিবানদের হাতছাড়া তিন জেলা
তালিবান
বিরোধী
গোষ্ঠীর
নেতা
খায়ের
মহম্মদ
আন্দারবি
দাবি
করেছেন,
তারা
পোল-ই-হেসার,
দেহ-সালহা
এবং
বানু
জেলাকে
তালিবান
মুক্ত
করেছেন।
তারা
এরপর
অন্য
জেলাগুলিতে
তালিবানদের
বিরুদ্ধে
এগোচ্ছেন।
তালিবানরা
ক্ষমার
দৃষ্টিতে
কাউকে
দেখছে
না।
আফগান
সংবাদ
সংস্থা
আসভাকা
বলেছে,
বিরোধী
বাহিনী
বেশ
কয়েকজন
তালিবানকে
হত্যা
করেছে।
পোল-ই-হেসার
জেলা
যা
স্থানীয়দের
প্রতিরোধের
ফলে
তালিবানদের
হাত
ছাড়া
হয়েছে,
,
তা
কাবুলের
উত্তরে
পঞ্জশির
উপত্যকার
কাছেই।
এই
পঞ্জশিরেই
তালিবানরা
প্রথমে
বিরোধের
মুখে
পড়ে।
ভারতীয় দূতাবাসে হামলা হয়নি
কান্দাহার এবং হেরাটে ভারতীয় দূতাবাসে তালিবানরা হামলা চালিয়ে লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু সূত্রের খবর অনুযায়ী, দূতাবাসের স্থানীয় এক কর্মী জানিয়েছেন, এই ধরনের কোনও হামলা কিংবা হানা দেয়নি তালিবানরা। এই ধরনের খবর প্রকাশিত হয়েছে, শুধু ভারতীয় দূতাবাস নয়, বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে হানা দিয়েছে তালিবানরা। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দূতাবাসের কর্মী থেকে কাগজপত্র প্রায় সবই আগে থেকেই সরিয়ে ফেলেছিল ভারত-সহ সব দেশ। আর যা পারেনি তা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল সেখানেই। কান্দাহার এবং মাজার-ই-শরিফের দূতাবাসে তালিবান যোদ্ধারা ঢুকলেও, বাড়িটি দখল করেনি বলে জানা গিয়েছে।
দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হতে পারে আফগানিস্তান
এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘের তরফে সতর্ক করে বলা হয়েছে, তিন আফগানির মধ্যে একজন দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হতে পারেন। কেননা যুদ্ধ আর গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর জেরে সেখানকার প্রায় ১.৪ কোটি মানুষ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন। এই পরিস্থিতিতে সেখানে অনিশ্চিত ভবিষ্যত, কেননা তালিবানরা ক্ষমতা দখলের দাবি করেছে।
বিদেশিদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি
ন্যাটোর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কাবুল থেকরে প্রায় ১৮ হাজার মানুষকে সরানো হয়েছে। আরও মানুষকে সেখান থেকে সরানো হচ্ছে। হাজার হাজার আফগান কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষা করছেন, দেশ থেকে পালানোর জন্য। যদিও তালিবানদের তরফে কোনও রকম আইনি কাগজপত্র ছাড়া কাউকে সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।
কাবুল থেকে মানুষকে সরানো খুব কঠিন কাজ
এদিকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত সেখান থেকে তারা ১৩ হাজার মানুষকে সরাতে পেরেছেন। যার বিমানে করে সরানোর ক্ষেত্রে একটা রেকর্ড। এই সরানোর প্রক্রিয়াটি কঠিন কাজও বটে। কিন্তু যেভাবে ঝুঁকি নিয়ে সরানো হচ্ছে মানুষদের, তাতে তাঁরা ফলাফল সম্পর্কে নিশ্চিত নন।
সাংবাদিকের আত্মীয়কে হত্যা
তালিবানরা জার্মানির সাংবাদিককে না পেয়ে তাঁর এক আত্মীয়কে হত্যা করেছে, অপর একজন গুরুতর আহত, বাকিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন। কেননা তারা ঘরে ঘরে হানা দিয়েছে, জার্মানির সেই সাংবাদিককে খুঁজে বের করতে। এই ঘটনার প্রবল নিন্দা করেছে জার্মানি।
আফগান পতাকা হাতে নেওয়ায় মারধর
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আফগানিস্তানের জাতীয় পতাকা হাতে নেওয়ায় একজনকে ব্যাপক মারধর করা হচ্ছে। ওই ব্যক্তি গাড়ির সামনে পতাকা রেখেছিলেন। তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে হাত বেধে মারধর করা হয়।
৩১ অগাস্ট পর্যন্ত সরকার গঠন নয়
আপাতত ঠিক হয়েছে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত তালিবানরা সরকার গঠন করবে না। কেননা আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, যতক্ষণ না আমেরিকার বাহিনী সেখান থেকে সরানো হচ্ছে, তারা সরকার গঠন করবে না। তবে তালিবানরা কী করতে চলেছে, তা ৩১ অগাস্টের কাছাতাছি সময় আসলেই তা জানা যাবে।
আমেরিকার বিমানে দেশ ছেড়েছেন পপস্টার
আফগানিস্তানের সব থেকে বড় পপ গায়িকা আরসানা সঈদ ছাড়াও বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী আফগান মহিলা আমেরিকার বিমানে দেশ ছেড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সঈদ নিজেই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন, তাঁর দেশ ছাড়ার কথা। তিনি দোহায় অপেক্ষা করছেন ইস্তানবুলে যাওয়ার জন্য, জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে।
ক্রিকেট বোর্ডের অফিসে তালিবানরা
তালিবানদের কাবুল দখলের পরে আফগানিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেন, তারা কোনও হুমকির মুখে পড়েননি। যদিও আফগানিস্তানের ক্রিকেটাররা অনিশ্চিত ভবিষ্যত নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন বলেই জানা গিয়েছে। একটি ছবি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে তালিবানরা আফগান ক্রিকেট বোর্ডের অফিসে হানা দিয়েছে।