লষ্কর প্রধান হাফিজ সইদের ১৫ বছরের জেল! এফএটিএফ-র রোষানল থেকে বাঁচতেই রাস্তা খুঁজছে ইসলামাবাদ?
হাফিজ সইদকে সাড়ে ১৫ বছরের জেলের সাজা শোনাল পাক আদালত
বিগত কয়েক দশক ধরেই সন্ত্রাসবাদীদের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্রে হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। আর ঠিক এই কারণেই একাধিকবার আন্তর্জাতিক মহলের রোষানলে পড়লেও তাতে বিশেষ কর্নপাত করেনি ইমরান সরকার। যদিও করোনাকালীন পরিস্থিতিতে আর্থিক সঙ্কটে পড়ে বর্তমানে বেশ খানিকটা বেকায়দায় পাকিস্তান।আর জেরেই বর্তমানে লস্কর-ই-তইবা প্রধান হাফিজ সইদকে ১৫ বছরের সাজা শোনাল পাক আদালত।
২১ জন কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীকে আড়ালের চেষ্টা ইসলামাবাদের
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক আর্থিক দুর্নীতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফএটিএফ-র কোপ থেকে বাঁচতে গত কয়েক মাস থেকেই ঘুঁটি সাজাচ্ছিল পাকিস্তান। সূত্রের খবর, চলতি বছরেই পাকিস্তানের মাটিতে লুকিয়ে থাকা দাউদ ইব্রাহিম সহ ২১ জন কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীকে আড়ালেও চেষ্টা চালাচ্ছিল পাকিস্তান। কারণ এফএটিএফ-র রোষানলে একবার পড়ে গেলে একাধিক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্তরে অনুদান প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবে পাকিস্তান।
এফএটিএফ-র রোষানল থেকে বাঁচতেই রাস্তা খুঁজছে পাকিস্তান
আর একথা মাথয় রেখেই এফএটিএফ-র রোষানল থেকে বাঁচতে অবশেষে হাফিজ সইদের সাজা শোনাল লাহোরের আদালত। একইসাথে লস্কর-ই-তইবা ওরফে জামাত-উদ-দাওয়ার প্রধান হাফিজ সইদ সহ ৫ নেতাকে সন্ত্রাসে আর্থিক মদতের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছেন বিচারকেরা। প্রত্যেককেই সাড়ে ১৫ বছরের সাজা দিয়েছে আদালত। তবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদী কর্যকলাপের যে ভুড়ি ভুড়ি অভিযোগ রয়েছে সইদের বিরুদ্ধে তাতে এই রায় আদতে পর্বতের মুষিক প্রসব বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কারাদণ্ডের সাজা শোনার পরেও বাড়িতেই বহাল তবিয়তে হাফিজ
এদিকে এর আগে গত নভেম্বর মাসেও সন্ত্রাসবাদের আর্থিক মদতের অভিযোগ ওঠে লষ্কর প্রধানের বিরুদ্ধে। সেই সময় দুটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। ফলস্বরূপ সেই সময় ভিন্ন একটি রায়ে তার পাঁচ বছর করে মোট ১০ বছরের জেল দেওয়া হয় বলে জানা যায়। যদি কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হলেও তারপর থেকে হাফিজ সইদ বহাল তবিয়তে বাড়িতেই ছিল বলে গোপন সূত্রে খবর। আর এই ক্ষেত্রে ফের কাঠগোড়ায় ওঠে পাকিস্তানের ভূমিকা। এদিকে পাকিস্তান যে কার্যত জামাই আদার করে একাধিক কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীকে পুষছে সেই বিষয়ে এর আগেও আন্তর্জাতিক স্তরে একাধিকবার সরব হয়েছে ভারত।
আর কোন কোন সন্ত্রাসী নেতার সাজা শোনাল আদালত?
হাফিজ ছাড়াও জামাত-উদ-দাওয়ার মুখপাত্র ইয়ায়া মুজাহিদ, জাফর ইকবাল, হাফিজ আবদুস সালাম ও মহম্মদ আসরাফের সাজা শুনিয়েছে পাক আদালত।অন্যদিকে এই মামলার অপর আসামি হাফিজ সইদের শ্যালক আবদুল রহমান মাক্কিকে ৬ মাসের জেলের সাজা হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি ২ লক্ষ টাকা জরিমানও হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি বছর মোট চারটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে হাফিজকে। তারমধ্যে এই ক্ষেত্রেই সব থেকে বেশি সাজা ঘোষণা করল আদালত।
কিষাণ নিধি নিয়ে মিথ্যাচার করছেন মোদী, মমতাকে আক্রমণের পাল্টা দিলেন সৌগত