ওমিক্রনের নতুন সাব ভেরিয়েন্টের ওপর কাজ করছে না বেশিরভাগ অ্যান্টিবডি, দাবি ল্যানসেটের
ওমিক্রনের নতুন সাবভেরিয়েন্টের ওপর কাজ করছে না বেশিরভাগ অ্যান্টিবডি, দাবি ল্যানসেট রিপোর্টর
ল্যানসেট ইনফেকশাস ডিজিজেস জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ওমিক্রনের উপপ্রজাতি BA.2.75.2 এর বিরুদ্ধে বেশিরভাগ অ্যান্টিবডি কাজ করছে না। সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের গবেষকরা জানালেন, শীতে ওমিক্রনের সংক্রমণ অনেকটা বেড়ে যাবে। ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। তবে বাইভ্যালেন্ট ভ্যাকসিনগুলো ওমিক্রনের এই উপপ্রজাতির বিরুদ্ধে কিছুটা লড়াই করতে সমর্থ বলেই গবেষকরা জানিয়েছেন।
করোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের তরফে জানানো হয়েছে, অ্যান্টিবডি BA.2.75.2 বিরুদ্ধে একেবারেই কাজ করছে না, তা বলা ভুল হবে। তবে ওমিক্রমণের অন্যান্য উপপ্রজাতির থেকে BA.2.75.2-এর প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা বেশি। এই উপপ্রজাতির বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য অন্যদের থেকে আলাদা বলেও গবেষকরা জানিয়েছেন। মূলত স্পাইক প্রোটিনের রিসেপ্টর বাইন্ডিং ডোমেনে দুটি মিউটেশনের কারণে এই উপপ্রজাতির প্রতিরোধ ক্ষমতা এত বেশি বলে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন।
সুইডেনের স্টকহোমে ৭৫ জনের রক্তের সিরাম নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অ্যান্টিবডিগুলো BA.5-এর তুলনায় BA.2.75.2 উপপ্রজাতির ক্ষেত্রে ছয় ভাগের এক ভাগ কাজ করে। গবেষকরা জানিয়েছেন, একই সময়ে রক্তের সমস্ত নুমনা সংগ্রহ করা হয়নি। তিনটি পৃথক সময়কালে নমুনাগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। ২০২১ সালে নভেম্বরে ওমিক্রনের আবির্ভাবের আগে কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পাশাপাশি ২০২২ সালের এপ্রিলে ওমিক্রন সুইডেনে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে। সেই সময় কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও অগাস্টের শেষে ও সেপ্টেম্বরের শুরুতেও বেশ কিছু নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। দেখে গিয়েছে, BA.5-এর পর ওমিক্রমণের BA.2.75.2 উপপ্রজাতি আসে। যা আগের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী।
করোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী বেন মুরেল বলেন, ওমিক্রনের BA.2.75.2 ভেরিয়েন্ট আসার আগে BA.2.75 আসে। বর্তমানে এই ভেরিয়েন্টটি বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভেরিয়েন্টে বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি মনে করছেন, শীতকালে এই দুই ধরনের ভেরিয়েন্টের প্রকোপ বিভিন্ন দেশে বাড়বে। বিশেষ করে শীতপ্রধান দেশগুলোতে এর প্রভাব বাড়বে।
তবে ওমিক্রণের নতুন ভেরিয়েন্টের ওপর বেশিরভাগ অ্যান্টিবডি কাজ করতে পারে না। কিন্তু এই ভেরিয়েন্টটি মানুষের শরীরে কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা জানা যায়নি। পাশাপাশি এই ভেরিয়েন্টে কী কী উপসর্গ রয়েছে, তাও জানা যায়নি। তাই শীতকালে নতুন করে ওমিক্রণের প্রভাব বাড়লেও হাসপাতালে ভর্তির হার বাড়বে কি না, সেই বিষয়ে এখনই কোনও ধারণা বিজ্ঞানীরা করতে পারছেন না। তবে তাঁরা স্বাস্থ্য বিভাগগুলোকে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর আবেদেনের ভিত্তিতে আরবিআই ও সিবিআইকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের