এই কারণে হাফিজ সইদকে মুক্তির নির্দেশ লাহোর হাইকোর্টের
জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ সইদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের সরকারকে নির্দেশ দিল লাহোর হাইকোর্টের রিভিউ রোর্ড। মুক্তির তারিখ ধার্য হয়েছে ২৬ অক্টোবর। একইসঙ্গে তাঁর ৪ সঙ্গীকেও মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এবছরের জানুয়ারি থেকে গৃহবন্দি রয়েছেন জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ সইদ। পাকিস্তানের পঞ্জাব সরকার হাফিজের গৃহবন্দির মেয়াদ বাড়ানো জন্য চাপ দেয়নি। এদফায় হাফিজের গৃহবন্দির মেয়াদ ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
২০০৮-এর মুম্বই হামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগে রাষ্ট্রসংঘ, আমেরিকা ও ভারত হাফিজ সইদকে জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করেছে। বিচারপতি ইয়াওয়ার আালি, বিচারপতি আবাস সামি খান এবং বিচারপতি আলিয়া নিলামকে নিয়ে গঠিত রিভিউ বোর্ডের সামনে হাজির করা হয়। সমগ্র বিচারপ্রক্রিয়া ক্যামেরা বন্দি করা হয়। সইদকে রিভিউ বোর্ডের সামনে হাজিরার সময় উপস্থিত ছিলেন তার কয়েকশো সমর্থক। পঞ্জাব সরকারে স্বরাষ্ট্র দফতরের কথা শোনার পর রিভিউ বোর্ড ২৬ অক্টোবরের আগে তাদের চার্জ ফাইল করার নির্দেশ দিয়েছে।
এর আগে সরকারের তরফ থেকে সইদের এবং তার সংগঠনের ওপর থেকে জঙ্গি তকমা তুলে নিয়ে অপর একটি আইনের অধীনে তাকে গৃহবন্দি করে রাখে। মুক্তির জন্যই সরকারের তরফ থেকে এই বন্দোবস্ত করা হয়েছে বলে অনুমান।
ফেব্রুয়ারিতেই তার আটকের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন হাফিজ সইদ। তার আইনজীবী একে দোগার জানিয়েছেন, সইদ এবং তার চার সঙ্গীর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগই আনা হয়নি। একইসঙ্গে তার অভিযোগ ছিল, একমাত্র আমেরিকার চাপেই সইদকে আটক করে রাখা হয়েছে। সইদের বিরুদ্ধে অপরাধের কোনও অভিযোগ নেই বলেই জানিয়েছেন তার আইনজীবী। আদালতে সইদের আইনজীবী জানিয়েছেন, পঞ্জাব সরকার ফের তিন মাসের জন্য আটকের মেয়াদ বাড়িয়েছে।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন এর আগে জামাত-উদ-দাওয়ার অপর সংগঠন মিলি মুসলিম লিগ দলকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধ সেধেছিল।