লাদাখের আগ্রাসনে জিনপিংয়ের ভবিষ্যৎ ঝুঁকিপূর্ণ! লালফৌজ যুদ্ধে কেন বাধ্য হচ্ছে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
আগ্রাসন ও আস্ফালনের রাস্তা নিয়ে ক্রমাগত নিজের প্রতিবেশী দেশের এলাকা দখলে বুঁদ চিন। এমন এক পরিস্থিতিতে লাদাখ থেকে শুরু করে ভুটানের সাকতেং পর্যন্ত নিজের সাম্রাজ্যের সীমানা বাড়াতে আগ্রাসী মনোভাব দেখাচ্ছেন চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং। যা জিনপিংয়ের আগামী জীবনে বড় ঝুঁকি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ গর্ডন চ্যাং। তিনিই বিশ্লেষণ করেছেন গোটা পরিস্থিতি।
শি-র চৈনিক আগ্রাসন
শি জিনপিংই বর্তমানে চিনের যাবতী আগ্রাসনের মূল হোথা। তাঁর মস্তিষ্ক প্রসূত পন্থাতেই আগ্রাসনের রাস্তায় হাঁটছে চিন। যার ফলে, ফাঁকা আগ্রাসনই চিনের কাছে থেকে গিয়েছে, আল লাদাখের বুকে চিনের সেনা পেশী যুদ্ধে পরাস্ত হয়ে ঘরে ফিরছে। আর চিনের এই পরাজয়ের জন্যই জিনপিংকে বড় মূল্য চোকাতে হবে বলে দাবি গর্ডনের।
মুখিয়ে রয়েছেন শি
সদ্য লাদাখে যেভাবে চিনের সেনা পরাস্ত হয়েছে,তাতে লালফৌজের হর্তাকর্তা জিনপিং সহজে মাটি ছাড়বেন না। লালফৌজের ব্যর্থতা নিয়ে, চিন সেনায় আপাতত জিনপিংয়ের কুনজরে থাকা অফিসারদের সরানো হতে পারে বলে খবর। আর সেই জায়গায় শি নিজে র ক্যাম্পের সদস্যজের প্রবেশ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। গর্ডন চ্যাং এমনই দাবি করেছেন। ফলে ফের ভারতের দিকে তেড়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে লালফৌজের।
৪৩ এর বেশি চৈনিক সেনার মৃত্যু!
লাদাখে জুন মাসের মল্লযুদ্ধে চিন ও ভারতের সেনার প্রবল সংঘাত দেখা যায়। সেখানে ২০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ান শহিদ হন। যদিও চিন নিজের শহিদ জওয়ানদের কথা জানায়নি। তবে বিশেষজ্ঞ ক্লিও পাসকালের মতে, ৪৩ জন চিনে সেনা জুনের লাদাখ সংঘাতে মারা গিয়েছেন বলে খবর হলেও, বাস্তবের মাটিতে সংখ্যাটা ৬০ হতে পারে। যা নিয়ে চিন প্রবলভাবে প্রতিহিংসায় ফুঁসে রয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে।
'খেলা ঘুরে গিয়েছে'
বিশেষজ্ঞ ক্লিও পাসকালের মতে, লাদাখে চিন যা ভেবেছিল, তার থেকে খেলা এখন অনেক ঘুরে গিয়েছে। ভারতের সেনা শুধু আগ্রাসী বা প্রতিরক্ষায় বেশ আগ্রাসীই নয়, তারা বুক চিতিয়ে লাদাখের বুকে সাহস দেখিয়েছে। যা আশা করেনি চিন। ফলে , এাকা দখলের যে খেলা জিনপিং চালু করেছিলেন, তা কার্যত বুমেরাং হতে শুরু করেছে, বলে মত বহু বিশেষজ্ঞের।
লালফৌজ কেন বাধ্য হচ্ছে?
চিন সম্পর্কিত আরও এক বিশেষজ্ঞ রিচার্ড ফিশার জানিয়েছেন, লালফৌজের বহু কর্তার হাতেই যুদ্ধের রাস্তা ছাড়া নিজের পদ বাঁচানোর কোনও পথ ছিল না। শেষে জিনপিংয়ের কথা মতো যুদ্ধকে তাঁরা বেছে নিতে বাধ্য হন। কারণ , জিনপিংয়ের কথা যদি তাঁরা না মানতেন, বা বিরোধিতা করতেন, তাহলে তিনের অন্দরে জিনপিংয়ের সন্ত্রাস থেকে লালফৌজের অফিসাররা বাঁচতে পারতেন না।