
ভারত-ভুটান-চিন ট্রাই জংশনে বেজিংয়ের সন্দেহজনক হেলিপোর্ট! লাদাখ উত্তেজনার মাঝে পারদ চড়ছে
ডোকলাম সীমান্তের ওপারে চিনের নিজের আঙিনায় আপাতত ইচ্ছে মতো সমরসজ্জা তৈরি করে চলেছে। যা ঘিরে ভারতের প্রবল নজর রয়েছে। এক সাম্প্রতিক স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গিয়েছে ভারত-নেপাল- ভুটান সীমান্তে হেলিপোর্ট গড়ার পথে এগিয়েছে ভারত।

লালফৌজের কাজ ঘিরে সন্দেহ!
'ডেট্রেসফা' নামের এর প্রতিষ্ঠানের স্যাটেলাইট ছবি দেখাচ্ছে , বাকু লা ও ডোক লা পাস থেকে ১০০ কিলোমিটার পরই চিন ট্রাই জংশনের সীমানা ঘেঁসে একটি হেলিপোর্ট তৈরি করছে। এমই সন্দেহ বহু ছবির কোলাজ মিশিয়ে উঠে আসছে।

মিসাইল , সন্দেহ ও কিছু তথ্য
বেশ কিছু ব়্যাডারে ধরা পড়েছে যে ডোকলাম সীমান্ত এলাকায় চিন মিসাইল তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তার সঙ্গে এই হেলিপোর্টের নির্মাণ ঘিরে জল্পনা চড়ছে। মনে করা হচ্ছে, এই হেলিপোর্ট সমস্ত মরশুমেই চিনকে সম্পূর্ণ শক্তি যোগান দেবে। এলাকায় বাড়তি ট্রুপের মোতায়েনও দিল্লির নজর কেড়েছে।

সংঘাতের ইতিহাস যেখানে রয়েছে সেখানে...
স্যাটেলাইট চিত্র দেখা গিয়েছে, আগে '৬২তে চিন-ভারত যুদ্ধে যে সীমান্তে জায়গাগুলিতে যুদ্ধ হয়েছে। বা ডোকলামের যে অংশে সংঘাতের চিহ্ন ছিল,সেখানেই চিনের সেনা নির্মা কাজ চালাচ্ছে। বহু বিতর্কিত সীমান্ত এলাকাকেও তারা দখলে রাখছে বলে দাবি করেছে স্যাটেলাইটের ছবি পেশকারী সংস্থা।

নাকু লা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে মিসাইল!
স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যাচ্ছে, নাকু লা পাস থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে মিসাইল মোতায়েন রয়েছে। যেখানে ৯ মে , সংঘাতের খবর উঠে আসে। এছাড়াও ২০১৭ সালে ডোকলামের ৭৩ দিনের সংঘাতের সময় যে এলাকা মূলত কেন্দ্রীয় অঞ্চল হয়েছিল, সেই ডোক লার কাছাকাছি নির্মাণ হচ্ছে মিসাইল।

উত্তরাখণ্ডের দিকে চিনের আগ্রাসন
এর আগে স্যাটে লাইট চিত্রে দেখা গিয়েছে উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখের কাছে চিন সার্ফেস টু সার্ফেস মিসাইল তাক করে রয়েছে। যা মানস সরোবরের রাস্তায় পড়ছে। ক্রমাগত সীমান্তে লালফৌজের এমন নির্মাণ কাজ নিয়ে রীতিমতো বিরক্ত দিল্লি। তবে প্যানগংয়ে চিনের সেনা পা রাখতেই ভারত নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। ফলে এই নির্মাণ কাজে যে চিন মানসিক যুদ্ধে ভারতকে পরাস্ত করতে চাইছে , সেগুড়ে আগেই বালি ঢেলেছে দিল্লি।
লাদাখে শান্তি বজায়ে বদ্ধ পরিকর ভারতীয় সেনা, চৈনিক আগ্রাসন নিয়ে আশ্বস্ত করল মোদী সরকার